সেঞ্চুরি নয়, মুমিনুলের লক্ষ ছিল দিনভর ব্যাটিং করা
দীর্ঘ সাত মাস পর ব্যাটে-বলের লড়াইয়ে নেমেছিল মুমিনুল-মুশফিকরা। কথা ছিল এখন শ্রীলঙ্কায় থাকার। সেটি হয়নি কারণ, লঙ্কান ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বনিবনা না হওয়া।
তাই দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচের আয়োজন করে বোর্ড। লঙ্কা সফরের জন্য ২৭ সদস্যের যে দল দেয়া হয়েছিল তাদেরই দুই দলে ভাগ করে শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত হয় দুইদিনের ম্যাচ।
ওটিস গিবসন একাদশ ও রায়ান কুক একাদশ দেয়া হয় দল দুটির নাম। প্রথম দিনে ব্যাট করে ২৩০ রান তুলতেই অল-আউট হয় গিবসন একাদশ। এদিন তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম নেন ৩টি করে উইকেট।
আজ দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমে কুক একাদশের দুই ওপেনার দ্রুত বিদায় নেন। সাদমান ইসলাম করেন ১৩ ও ইয়াসির আলী করেন ২ রান।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। দীর্ঘ সাত মাস পর ব্যাট করতে নেমে পান শতকের দেখা। তার সঙ্গে মোহাম্মদ মিঠুনও তুলে নেন অর্ধশতক ((৬২)। মুমিনুল অবশ্য স্বেচ্ছায় বিশ্রাম নেন ১১৭ রান করে।
ম্যাচ শেষে মুমিনুল জানালেন উদ্দেশ্য রান করা ছিল না বরং কন্ডিশন ও দীর্ঘদিন পর খেলতে নেমে ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়া। তাই চেয়েছিলেন দিনভর ব্যাটিং করতে।
‘চিন্তা ছিল যে শুধু রানের জন্য না খেলে সারাদিন যেন ব্যাটিং করতে পারি। বিশেষ করে অনেক দিন ধরে খেলার মধ্যে ছিলাম না তাই কন্ডিশন বলেন, সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ শুরু করব তখন আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। প্রায় ৬-৭ মাস তো এভাবে ছিলাম না তাই চেষ্টা করেছিলাম টেস্ট ম্যাচে যেরকম ইনভল্বমেন্ট থাকি, যেরকম সিচুয়েশন থাকে সেভাবে খেলি।’
মুমিনুল জানান, প্রথমে একটু চিন্তিত থাকলেও দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা উপভোগ করেছেন তিনি। এছাড়া পেস বোলার ও ব্যাটসম্যানদের জন্য ভালো প্রস্তুতি ছিল বলেও জানান টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক।
‘প্রথমে খেলা শুরু হবার আগে একটু চিন্তিত ছিলাম। চিন্তিত থাকাটাই স্বাভাবিক। কেন না ৬-৭ ম্যাস ধরে আমরা খেলার বাইরে ছিলাম, শুধু অনুশীলন করেই গেছি। তো প্রথমে একটু নার্ভাস ছিলাম। শেষ দুইদিন আমি মনে করি আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। বিশেষ করে পেস বোলারদের, এছাড়া ব্যাটসম্যানদের যারা রান করছে তাদের। দুইদিনের খেলা হলেও আমি খুব উপভোগ করেছি।’
এমআর/
মন্তব্য করুন