• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্বাচন যেন একার, বাফুফের ব্যানার-ফেস্টুন তাই বলে

আরটিভি নিউজ

  ০২ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৫
The election seems to be alone, BFF's banner-festoon says so
ছবি- আরটিভি নিউজ

রাত পোহালেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। তাই সাজানো হয়েছে ভোট কেন্দ্র রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁ।

এন্ট্রি গেইটে বড় ব্যানার দিয়ে বানানো হয়েছে তোরণ, এরপর থরে থরে সাজানো হয়েছে বেশকিছু ছবি দিয়ে।

এবারের বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন তিন জন। বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়।

যদিও ভোটের লড়াইয়ের বেশ আগেই নাম প্রত্যাহার করে নেন বাদল রায়। তবে প্রত্যাহার পত্র গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। তাই নির্বাচনের ব্যালট পেপারে থাকছে তার নাম। বলাই যায় নির্বাচনে আছেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার।

এদিকে শফিকুল ইসলাম মানিক ভোটের মাঠে নেমেছেন বেশ জোরালো ভাবে। ইশতেহারও ঘোষণা করেছেন এরইমধ্যে। তিনি সাবেক ফুটবলার তো বটেই, বর্তমান সময়ের একজন সেরা কোচও। তাই নির্বাচনের আগে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না তার সম্ভাবনাও।

কিন্তু এসব কোনো ঘটনা নয়। ঘটনা, ভোট কেন্দ্রের ব্যানার-ফেস্টুন। সোনারগাঁ চত্বরে প্রবেশের পর আপনার মনে হতে পারে, নির্বাচন বোধহয় একজনেরই হচ্ছে। সেটার একমাত্র প্রার্থী ‘কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন’।

বাফুফের বেশ কিছু কার্যক্রমের ছবি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে দেয়ালে। যার সবটা জুড়ে কাজী সালাউদ্দিন। কোনো ছবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দাঁড়িয়ে, কোনোটাতে ফিফা প্রধানের সঙ্গে, এএফসি প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে সাক্ষাতের দৃশ্য। অথচ প্রতিপক্ষের কোনও ছবিই নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দীন শুক্রবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ভোটের ‍ভেন্যুর পুরোটাই বাফুফের বর্তমান সভাপতির প্যানেলের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। তা কি নির্বাচন কমিশনের নিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন করা যায়?

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটা বিষয় সব সময় থাকে। আমাদের নির্বাচন হচ্ছে একটা সুযোগ। এখানে ফুটবলকে হাইলাইট করি। হাইলাইটিংয়ে আমাদের যে অতীত রেকর্ড, সেখানে প্রধানমন্ত্রী, ফিফা প্রেসিডেন্ট, এএফসি প্রেসিডেন্ট থাকবেন। তাদের সঙ্গে কারা থাকেন? যারা বাফুফের কর্মকর্তা রয়েছেন তারাই থাকবেন।’

বর্তমান কমিটির অনেকেই আছেন যারা সালাউদ্দিনের প্রতিপক্ষ। তারাও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। যদিও তাদের ছবি রাখা হয়নি ভোট কেন্দ্রে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে এত বাছাইয়ের সুযোগ নেই। মূল বিষয় হচ্ছে ফুটবলকে তুলে ধরা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে ফুটবল তুলে ধরছেন। এটা আমাদের জন্য গৌরবের। তার সঙ্গে যখন যে থাকে তাদেরই ছবি যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমি থাকলে আমারও ছবি যাবে। আমি এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আমি ডেকেছি সবাই এসেছেন। ভোট শেষ হলে বিরিয়ানির দাওয়াত দিলেও আসবেন না। যখন যার বাজার থাকে, এটাই স্বাভাবিক।’

ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না এ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘কোনো কারণ নেই।’

শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে হবে বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন।

এমআর/ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh