‘দুর্নীতিবাজ হয়ে সোনারগাঁয়ে থাকার চেয়ে দুর্নীতি মুক্ত হয়ে রাস্তায় থাকা ভালো’
মাঝে বাকি একদিন, এরপরই অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এই নির্বাচন নিয়ে কারও ক্ষোভ থাকার কথা না বরং দেশের ফুটবল সমর্থকদের ক্ষোভ গত তিনবার নির্বাচিত বাফুফে সভাপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিনের উপর।
২০০৮ সালে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে বাফুফের মসনদে বসেন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর দেশের ফুটবল তো এগোয়নি বরং পিছিয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনে জয়ী হলে চতুর্থ বারের মতো সভাপতি হবেন তিনি। কিন্তু ফুটবল সমর্থকরা যেন মেনেই নিতে পারছেন না তাকে।
এ নিয়ে দফায় দফায় মানব বন্ধন করছে বিভিন্ন সমর্থকগোষ্ঠি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদের নেতৃত্বে আয়োজিত হয় ‘আমরাও একদিন ফুটবল বিশ্বের শক্তিশালী খেলুড়ে দেশ হতে চাই’ শীর্ষক এই মানব-বন্ধন ‘প্রজন্ম, ফুটবল যাদের চেতনায় ও অস্তিত্বে’।
এখানে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার সুমন। উক্ত মানব-বন্ধনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘জনাব সালাউদ্দিন সাহেব বলেছেন, আমরা যারা আন্দোলন করি তারা নাকি রাস্তার ছেলে। একটা জিনিস মনে রাখবেন, ‘দুর্নীতিবাজ হয়ে সোনারগাঁয়ে থাকার চেয়ে দুর্নীতি মুক্ত হয়ে রাস্তায় থাকা অনেক ভালো।’
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হয়েছি, গত সপ্তাহে আমি গিয়েছিলাম হোটেল সোনারগাঁয়ে। আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে জনাব সালাউদ্দিন সাহেবের যে সিন্ডিকেট তারা সেখানে খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করতেছেন।’
‘সোনারগাঁয়ে খাওয়া তো দোষের না ধনী মানুষ হলে তো সোনারগাঁ-তেই খাবে। তবে সোনারগাঁয়ে গিয়ে যখন দেখলাম, হিসেব-নিকেশ চলতেছে তখনই বুচ্ছি কী ধরণের অবস্থা। বাংলাদেশের ফুটবলরা জাতীয় দলে খেলার পর যখন রাজনীতি করে আর ফুটবল ফেডারেশনের নেতারা যখন হোটেল সোনারগাঁয়ে বসে যখন মিটিং করে তখন বুঝতে হবে বাংলাদেশের ফুটবল এদের কাছে নিরাপদ নয়।’
সুমন দাবি করেন, দুর্নীতির অভিযোগ আছে যাদের তাদের যেন নেতা না বানানো হয়।
‘আমরা তো বলিনি অমুক-তমুক বা আমাদের কাউকে নেতা বানান। আমরা এগুলোতে আসিনাই। আমরা শুধু বলছি যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তাদেরকে নেতা বানাবেন না।’
এমআর/
মন্তব্য করুন