টেস্ট খেলার স্বপ্নে বিভোর সাইফউদ্দিন, আছে পিছুটান
সাইফউদ্দিন নিজেই বললেন, টেস্ট খেলা প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন। ব্যতিক্রম নন তিনিও। তবে সেটা কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) যদি শেষ পর্যন্ত সিরিজটা পুনরায় স্থগিত করে।
আপাতত সেসব দুই বোর্ডের অফিসিয়াল ব্যপার। তবে অল-রাউন্ডার সাইফউদ্দিনের অপেক্ষা সাদা জার্সিতে অভিষেকের। আজ বুধবার চতুর্থ দিনের মতো দলীয় অনুশীলন শেষে এমনটাই জানালেন তিনি।
‘প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলা, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা। আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট করা, স্কিল উন্নতি করা।
সাইফউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি কিছুটা চিন্তিত আমার স্কিল নিয়ে। প্রায় ৬-৭ মাস আমি বোলিং, ব্যাটিং সেভাবে করতে পারিনি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটে যেভাবে ডমিনেট করতে হয় সে অনুযায়ী। তারপরও যে সময়টা আছে, যদি শ্রীলঙ্কায় যাই সেখানে যে সময়টা পাবো নিজেকে মেলে দেয়ার চেষ্টা করবো।’
করোনার সময়টা গ্রামের বাড়ী ফেনীতে ছিলেন তিনি। সেখানে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার সঙ্গে নেমে পড়েছিলেন মাঠে। যতই মাঠে যাওয়া হোক সেটা তো আর জাতীয় দলের লেভেলের অনুশীলন না।
‘করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনীতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি কিন্তু স্কিল নিয়ে অন্য প্লেয়ারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি পাকার মধ্যে করেছি, বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুইদিনও বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি বোধ করতেছি আমি। তারপরেও আশাবাদী আর কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তোবা আগের রূপে ফিরে আসতে পারবো।’
টেস্টে ফেরার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও সাইফউদ্দিনের পিছুটান চোট। লঙ্গার ভার্শনের ক্রিকেটে নিজেকে কতটা পোক্ত করতে পারবেন সেটা নিয়েও ভাবছেন বলে জানান এই অল-রাউন্ডার।
‘সবসময় আমার একটা চিন্তা থাকে চোট নিয়ে। যেহেতু আমার মেজর একটা চোট আছে, ব্যাক পেইন। আমি প্রায় ৬-৭ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম, এরপর ফিট হয়ে ফিরে এসে দুই একটা ম্যাচ খেলার পর করোনার কারণে ৬ মাস পিছিয়ে গেলাম। প্রায় এক বছরের মত আমি মাঠের বাইরে।’
সাইফউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি একটা মেজর ইনজুরি অনেক বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা এই চোটের কারণে ৬ মাস আমি বাইরে ছিলাম, ফিরে এসে ফিট হয়ে দুই একটা ম্যাচ খেলেই আবার করোনার কারণে ৬ মাস খেলা থেকে দূরে থাকতে হয়। যার কারণে আমার জন্য কঠিন, এক বছরের মতো আমি মাঠের বাইরে। ফিটনেস নিয়ে কাজ বা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। সামনে অনেকগুলো ম্যাচ আছে, নিজেকে যত তাড়াতাড়ি ওভার কাম করতে পারবো ততই আমার জন্য ভালো। আমার লক্ষ্যই থাকবে এটা, যত তাড়াতাড়ি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাবো আমার ও দলের জন্যই ভালো।’
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন