• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

যারা ফেসবুকে গালি দিচ্ছে তাদের যোগ্যতা কী, প্রশ্ন সালাউদ্দিনের

  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:০৬
football,
কাজী মো. সালাউদ্দিন

কাজী মো. সালাউদ্দিন স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতানোর পাশাপাশি কোচ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। চতুর্থবারের মতো বাফুফের প্রধান পদে লড়ছেন তিনি। আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরব। ‘বয়কট সালাউদ্দিন ‘হ্যাশট্যাগে তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চলছে। ফুটবল প্রেমী হিসেবে ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধনও করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আরটিভি নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার কুশল ইয়াসির।

প্রশ্ন: প্রতিবারের তুলনায় এবারের নির্বাচন নিয়ে বেশি আলোচনা চলছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নির্বাচন নিয়ে সরব। এগুলো কি বাড়তি প্রভাব ফেলে?

কাজী মো. সালাউদ্দিন: আমার ফেসবুক আইডি নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারও করি না। এই বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব কম। আমি যেটা জানি, আমাকে অনেকে গালিগালাজ করে। এক হাজার লোক আমাকে গালি দেয়ার পাশাপাশি নামটা ভুল লিখেছে। কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ লিখেছে। নামতো একজন ভুল করতে পারে। কিন্তু এক সঙ্গে হাজার মানুষ একইভাবে নাম ভুল করছে। অর্থাৎ একটি পক্ষই এসব নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই আমি বলি এসব ভুল তথ্য। আমার প্রতিপক্ষ শুরু করেছে।

প্রশ্ন: বাফুফের নেতৃত্বে পরিবর্তনের জন্য রাস্তায় নেমেছে মানুষ। ব্যারিস্টার সুমনের নেতৃত্বে ‘আমরাও একদিন ফুটবল বিশ্বের শক্তিশালী খেলুড়ে দেশ হতে চাই’ শীর্ষক এই মানববন্ধন আয়োজন করে ‘প্রজন্ম, ফুটবল যাদের চেতনায় ও অস্তিত্বে’।

কাজী মো. সালাউদ্দিন: টিভিতে দেখলাম দাবি উঠেছে, সালাউদ্দিনকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনের বাকি মাত্র ১৫ দিন। আপনি কেনো নির্বাচন করতে আসছেন না? আমি তো নির্বাচিত হয়েই এখানে এসেছি। আমি তো আমার নির্বাচন করছি। আপনি নির্বাচনে না এসে আমাকে পদত্যাগ করতে বলছেন। আপনি কে, আপনার যোগ্যতা কী? যদি এমন হতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনার সাংগঠনিক কোনো বড় অবদান আছে তাও মেনে নিতাম। গণমাধ্যমে এসে গালাগালি করলেন। কিন্তু গণমাধ্যমও তার কথা তুলে ধরছে, যা ভিত্তিহীন। আজকে আমি যদি অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করি। তাহলে দেখতে হবে অর্থনীতিতে আমার জ্ঞান কতটুকু। যারা আমাকে গালি দিচ্ছে, বলছে পদত্যাগ করতে তাদের যোগ্যতা কী? ফুটবলে আমার ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা। খেলোয়াড়, কোচ ও সংগঠক হিসেবে কাজ করছি।

প্রশ্ন: গেল ১২ বছরে জাতীয় দলের ম্যাচ জয়ের সংখ্যা খুবই কম। চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে জয়ী হলে কোন কোন বিষয়ে আমূল পরিবর্তন আনবেন?

কাজী মো. সালাউদ্দিন: দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫০ বছর। আমরা সময়টাকে সোনালী অতীত বলি। মাঠে দর্শক ছিল। তখন কিন্তু ঢাকায় জাতীয় দল আসতো না। ক্লাবগুলো আসতো। আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জিতেছি। বিষয়টি গৌরবের হলেও আমরা আসলে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিপক্ষে জিতেছিলাম। এখন আমরা কোরিয়ান জাতীয় দলের বিপক্ষে মাঠে নামি। গেল ৪০ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ বেশি জয় রয়েছে আমার সময়ে। আমাদের সবার স্বপ্ন দল ভালো করুক। জাতীয় দলে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই। কোচিং স্টাফকেই কয়েক কোটি টাকা বেতন দিচ্ছি। আমাদের সময় এগুলো ছিল না। আগে ম্যাচের আগের দিন বিদেশ পৌঁছতাম। এখন সাত/আটদিন আগে পৌঁছে যাই। প্রস্তুতি ক্যাম্প গ্রহণ করি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছি। খেলোয়াড়দের ভালো করতে হবে। গণমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে। আমি সভাপতি, তবে ফুটবলকে এগিয়ে নিতে পুরো দেশকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।

প্রশ্ন: নতুন মেয়াদে নির্বাচিত হলে এমন কোনও কিছু করতে চান যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যা দেশের ফুটবলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে?

কাজী মো. সালাউদ্দিন: আমি কোনও চমক দেখাতে আসিনি। ১২ বছর ধরে ১১টা লিগ হয়েছে। খেলোয়াড়রা এখন দামি গাড়ি চালায়। আগে ১/২ লাখ টাকা পেতো। এখন ৬০/৭০ লাখ টাকা পায়। আমার নিয়ত হচ্ছে লিগের যে মান সেটাকে দিনের পর দিন আরও বড় করে তোলা।

ওয়াই/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh