পাকিস্তানকে হারিয়ে ক্যারিয়ার বাঁচালেন বাটলার
ব্যাটিং, কিপিং দুটোতেই অধারাবাহিক বেশ কিছুদিন ধরে। তবুও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) আস্থা রাখা জস বাটলারের উপর। সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে।
তার আগে প্রশ্ন উঠেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া নিয়েও। তাই বাড়তি চাপও ছিল তার। সঙ্গে যোগ হয়েছিল বাবার অসুস্থতা। বাটলার যখন ব্যাট করছিলেন, তার বাবা তখন হাসপাতালে ভর্তি।
সব চাপ দূরে রেখে দলের বিপর্যয়ে ক্রিস ওকসের সঙ্গে জুটি বেঁধে জিতিয়েছেন দলকে। বাটলার যখন ব্যাটিং করতে নামেন তখন ইংলিশদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান। পাকিস্তানি কঠিন পেস লাইন-আপের সামনে স্বাগতিকদের লক্ষ্য ছিল ২৭৭ রানের।
দলের এমন বিপর্যয়ে বাটলার খেলেছেন ১০১ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। অথচ যখন কী না গুঞ্জন উঠেছে, এই বুঝি শেষ বাটলারের ক্যারিয়ার।
বাটলারও জানতেন এই ম্যাচটায় খারাপ খেললে বাদ পড়ে যাবেন পরের দুই টেস্টে। আর বাদ পড়া মানে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়া সেটা মেনেই নেমেছিলেন ব্যাট করতে। ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন এই উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান।
‘আমার মাথায় ছিল এই ইনিংসে রান না করতে পারলে সম্ভবত এটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এত বড় চাপ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেছি ঠিক কিন্তু ব্যাটিং শুরুর পর চাপ আর অনুভব করিনি। আমি শুধু চেষ্টা করেছি খেলায় মনোযোগ দিতে, দলের জন্য খেলতে। শেষ পর্যন্ত সেটিই করতে পেরেছি।’
ব্যাটিংটা নাহয় করা গেল কিন্তু কিপিংটা ঠিক আগের মতো পারছেন না। প্রথম ইনিংসে ১৫৬ রানের ইনিংস খেলা শান মাসুদকে দুইবার জীবন দিয়েছেন। একবার স্ট্যাম্পিং আরেকবার ক্যাচ মিস করেছেন। কিপিং নিয়ে বাটলার নিজেও তেমন সন্তুষ্ট নন। চাইছেন উন্নতি করতে আরও।
‘যে সুযোগগুলো নিতে পারিনি সেসব নিতে পারলে আমরা অনেক আগেই জিতে যেতে পারতাম হয়তো। এর জন্য দোষটা আমার উপরই নিচ্ছি। ভালো কিপিং করিনি। যেসব ভুল হয়েছে সেগুলো এই পর্যায়ের ক্রিকেটে কখনোই উচিৎ না। আমি জানি আমাকে কি করতে হবে।’
এমআর/
মন্তব্য করুন