• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

করোনায় থেমে নেই নারী-শিশু হত্যা, বেড়েছে ধর্ষণ (ভিডিও)

আরটিভি নিউজ

  ১৬ জুলাই ২০২০, ১০:৫০

করোনাকালেও থেমে নেই, নারী ও শিশু হত্যা, ধর্ষণের মত ঘটনা। চলমান দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সংকটে স্বাভাবিক জীবনের জন্যেই যখন হাপিত্যেশ, সেখানে এমন সহিংসতা, ভুক্তভোগীদের মনে দগদগে ক্ষত সৃষ্টি করছে। কেবল গৃহস্থলী নয়, প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদের জেরেও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারী-শিশুরা।

সাজিদা ইসলাম পারুল ও রেজাউল করিম প্লাবন পেশায় দু’জনেই সাংবাদিক। সংসার শুরু না করতেই ভাঙনের সুর! শারীরিক নির্যাতন, ভ্রুণ হত্যার মতো জঘন্য নির্যাতনের অভিযোগে এক সময় প্লাবনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পারুল।

অভিযুক্ত প্লাবন গ্রেফতার না হওয়ায় একা রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ওই নারী সংবাদকর্মী। এখন পর্যন্ত মামলার আসামি গ্রেফতার দূরের কথা, উল্টো এ নিয়ে তৃতীয়পক্ষের দর কষাকষিতে, সমস্যা আরো প্রকট হচ্ছে। এমনটাই বলছেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাজিদা ইসলাম পারুল।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তাকে ধরতে পারে না, সে ফেসবুকে আছে। বাসায় যায়। একদিক দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা অন্যদিক দিয়ে চরিত্র হরণ। সবই চলছে। তিনি বলেন, আগে তাকে গ্রেপ্তার করেন তা হলে সব বের হয়ে আসবে।

মেয়ে হীরামনিকে হারিয়েও লক্ষ্মীপুরের এক মা বিচার চেয়ে পাচ্ছেন না। ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামী ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। মারা যাওয়ার পর স্বামীর মৃতদেহ নিতে ঢাকায় আসেন। বাড়ি ফিরে জানতে পারেন, বাসায় রেখে যাওয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনা ভাইরাল হলেও, এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ।

হীরামনির নানি বলেন, আমার নাতিনকে যে ভাবে মেরেছে সে ভাবে আসামির মৃত্যু চাই।

কোভিড নাইনটিনের এমন মহামারীর মধ্যেও নারী ও শিশুদের ওপর এমন সহিংসতার ঘটনাগুলো গণমাধ্যমের প্রায় প্রতিদিনের শিরোনাম হচ্ছে।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, গৃহবন্দী মানুষকে হতাশ ও অস্থির করে তুলছে। যার প্রভাব পড়ছে নারী ও শিশুদের ওপর।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. সানজিদা আখতার বলেন, অনেক নারীও কাজ হারিয়েছেন। নারীদের ক্ষমতায়নের যে জায়গাটা ছিল সেইখানে যেহেতু একটা বিপন্নের পরিস্থিতি তেরি হয়েছে তার জন্য সহিংসতার শিকার হবার ঝুঁকিটাও তাদের জন্য বেড়ে যাচ্ছে ।

তিনি আরও বলেন, সাপোট সিস্টেমগুলো এখন খানিকটা সীমিত হয়ে পড়েছে। সেটার বিকল্প কীভাবে বাড়ানো যায়, তা ভাবা জরুরি। মানসিক নিপীড়ন, শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন সবই প্যানডেমিক সিচুয়েশনে বেড়েছে। তিনি বলেন, শুধু বড় শহরেই নয়, সব জায়গাতেই নির্যাতন প্রতিরোধে কীভাবে সহায়তা দেয়া যেতে পারে, সেই পলিসিটা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন যারা
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে প্রথম প্রিয়ন্তী মণ্ডল
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল যেভাবে জানবেন
পহেলা বৈশাখে ঢাবিতে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
X
Fresh