• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ল্যাবরেটরি ছাড়াই করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল, আরটিভি নিউজ

  ১৪ জুলাই ২০২০, ১৫:২২

আরটিপিসিআর ল্যাব নেই, সব শর্তও পূরণ করতে পারেনি, তারপরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সম্প্রতি জেকেজি ও রিজেন্ট কান্ডে অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।

অনুসন্ধানে দেখা যায় এর ৪টি প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাবই ছিল না। আর বাকী একটি প্রতিষ্ঠানের ল্যাব অকেজো।

রাজধানীর সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে প্রস্তুতি চলছে করোনার পরীক্ষার আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের। বিদেশ থেকে মেশিন আসলে বসানো হবে এই ল্যাবরেটরিতে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটিকে গত ১৮ই মে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যদিও চুক্তির দুই মাস পরও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নিশ্চিত নন কবে নাগাদ বিদেশ থেকে মেশিন আসবে।

এ বিষয়ে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল হাসতান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের সাময়িক স্থগিত করেছে। তারা এসেছিলেন, দেখে গিয়েছেন যে ল্যাবরেটরিতে কাজ চলছে। আমাদের পিসিআর মেশিন এখন স্থাপন করা হয় নাই, মেশিন বিদেশ থেকে আসছে।

অন্যদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মনসুর আলী বলেন, আমরা সরকারিভাবে কোনও অনুদান বা সাহায্য-সহযোগিতা পাই নাই। এখানে সম্পূর্ণ ব্যাক্তি মালিকানায় কাজ হচ্ছে। এখানে যারা সেবা নেবেন তারা নিজের অর্থেই সেবা নেবেন।

আরেক অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্র কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সরেজমিনে দেখা যায় করোনার পরীক্ষার জন্য একটি অকেজো মেশিন রয়েছে তাদের। শর্তে না থাকলেও এতোদিন অন্য মেডিকেল থেকে পরীক্ষা করিয়েছেন তারা। সম্প্রতি নোটিশ পেয়ে পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়।

এ প্রসঙ্গে কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. গোলাম মোরশেদ সুমন বলেন, এই মেশিনের অনেক দাম। এই মেশিন দিয়ে তো আমরা অন্য টেস্ট করতাম। আমরা বায়ুমেডিক থেকে টেস্টগুলো করছি, এটা করা যায়। সেটি একটি অনুমোদিত সংস্থা। তবে এখন আমাদের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। মেশিন ও কিট যদি কাল চলে আসে তাহলে আমরা কাগজ পত্র জমা দেব। বাকি তাদের ইচ্ছা।

এছাড়া সাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি পাওয়া থাইরোকেয়ার, স্টিমজ হেলথ কেয়ার এবং চট্টগ্রামের এপিক হেলথ কেয়ার করোনা পরীক্ষার মেশিন দেখাতে পারেনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত জেকেজি ও রিজেন্ট এর প্রতারণা ধরা পরার পর এই পাঁচ প্রতষ্ঠানকে পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলে কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, তাদের ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করতে যে এতো সময় লাগবে,তা আমরা বুঝতে পারিনি। তারা ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করে আবার আবেদন করবে। তার পরে আমরা দেখে বিবেচনা করব। তাদের তো স্থগিত করা হয়েছে,বালিত নয়।

তাহলে কোন যোগ্যতায় ও শর্তে এসব প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষা ও কিচিৎসার অনুমতি দিয়েছেল, এমন প্রশ্ন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছিল যে আপনার আইপিসিআর মেশিন আনতে পারবেন কিনা । তারা যেহেতু ব্যর্থ হয়েছে তাই টেস্ট স্থগিত করা হয়েছে।

শর্ত পূরণ করে আবেদন করলে যাচাই বাছাই শেষে এসব প্রতিষ্ঠানকে ফের অনুমোদন দিতে আগ্রহী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসএ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাকরির সুযোগ দেবে ইবনে সিনা, নেবে একাধিক
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চাকরির সুযোগ
তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে
X
Fresh