• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

প্রতারণা করেই কয়েকশ' কোটি টাকার মালিক সাহেদ (ভিডিও)

রুহুল আমিন তুহিন, আরটিভি

  ০৯ জুলাই ২০২০, ১৩:২২

প্রতারণা করেই কয়েকশ’ কোটি টাকার মালিক বনেছেন রিজেন্ট গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ। মিথ্যা আর প্রতারণাই যেন ছিলো তার ধ্যান-জ্ঞান। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে পাওয়ার ৩২টি মামলার বেশিরভাগই প্রতারণার।

এমএলএম, হাসপাতাল, শিক্ষা, গণমাধ্যম, হোটেল- সব ক্ষেত্রেই বিছানো ছিলো প্রতারণার জাল। সাতক্ষীরার নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এই সাহেদ মানুষকে ফাঁদে ফেলেই অল্পদিনে বনে যান কোটিপতি।

প্রবাসে আয় করা সমস্ত অর্থ দিয়ে ২০১১ সালে রাজধানীর উত্তরায় ‘ম্যানিলা আবাসিক হোটেল’ করেছিলেন, আনোয়ার হোসেন। ব্যবসার পরিধি বাড়াতে ২০১৯ সালে অংশীদার হিসেবে নেন রিজেন্ট গ্রুপকে।

অথচ, এক সময় নিজের প্রতিষ্ঠান থেকেই বিতাড়িত হন আনোয়ার হোসেন। সাহেদের প্রতারণা ও মামলার চাপে হয়ে পড়েন, কোনঠাসা। প্রতারণার বিচিত্র সব কৌশলের কথাও জানান তিনি।

সাতক্ষীরার নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা সাহেদ, নিজ এলাকাও ঠকবাজ হিসেবে পরিচিত। ঢাকায় এসে, এমএলএম, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, পত্রিকা, হোটেল ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেন কয়েকশ' কোটি টাকা।

বিপুল সম্পদ হাতিয়ে সেগুলোকে নিরাপদ করতে, রাজনীতি ও গণমাধ্যমের আশ্রয় পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। খরচ করেন, প্রচুর পরিমাণ অর্থ।

নিজেকে দামি প্রমাণ করতে, গাড়িতে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও বিভিন্ন দপ্তরের স্টিকার ব্যবহার, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস, রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সংবাদপত্রের সম্পাদক- সব কৌশলই নিতেন তিনি।

তবে, এতো কিছু করেও শেষরক্ষা হয়নি, মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের। কোভিড মহামারিকে পুঁজি কোরে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন নিজের পাতা ফাঁদে।

এমএলএমের নামে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল খাটেন, সাহেদ। বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা পাওয়া গেছে, যার বেশিরভাগই প্রতারণার।

প্রতারণা করাই ছিলো যার পেশা, সেই ব্যক্তি কীভাবে সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন, কীভাবে কথিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক হলেন, সেসব নিয়েই এখন চলছে আলোচনা।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh