করোনাভাইরাস : কতটা সচেতন দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ? (ভিডিও)
করোনা সংক্রমণ রোধে পরিচ্ছন্ন থাকার বার্তা সমাজের সব স্তরে এখনো পৌঁছেনি। বস্তিবাসী থেকে নিম্নআয়ের অনেকেই জানেন না করোনা প্রতিরোধের উপায়। যারা জানেন, করোনা নিয়ে তারা যতটা আতঙ্কিত ততটা সচেতন নন। আবার সব জেনেও নির্দেশনা মানার উপায় নেই বলছেন স্বল্প আয়ের অনেক মানুষ।
বেড়িবাঁধের ছোট বস্তিতে বসবাস করে প্রায় ২০০ মানুষ। এদের অনেকেই জানেন না করোনা ভাইরাস কি?
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পেরও একই চিত্র। ছোট এই স্থানে বাস করে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনা রোধে পরিচ্ছন্ন হওয়ার বার্তা এই নোংরা পরিবেশের কাছে যেন হার মেনেছে।
রাজধানীর জনসংখ্যার একটি বড় অংশের বাস এসব বস্তি আর ক্যাম্পে। এদের কেউ কেউ ভাইরাসটি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখলেও বাস্তবতার কারণে তা মেনে চলতে পারছেন না।
রাজধানীর বাজারগুলোর পরিস্থিতি আগের মতোই। টাকা লেনদেন, আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপার বেশীরভাগই উদাসীন।
আর গণপরিবহনের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এড়িয়ে চলতে বলা হলেও তা মানার উপায় নেই বেশীরভাগের। আছে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে উদাসীনতা।
কয়েকটি গণপরিবহনের যাত্রী বলেন, আসলে আমরা ঠিকভাবে এই রোগটির সম্পর্কে জানি না। কি করলে রোগটা হবে না সেটা অল্প শুনেছি তবে সেটা করতে পারছি না। গণপরিবহন এড়ানো সম্ভব না জানিয়ে এক যাত্রী বলেন, আমরা কাজ করতে ঘর থেকে বের হই। গণপরিবহন ছাড়া কাজে যাব কিভাবে? আর মাস্কও পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও যা দাম সেটা সামর্থ্যের বাইরে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা রোধে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পরিচ্ছন্নতার বার্তা পৌঁছানো জরুরি। আর মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পিছে না ছুটে সামর্থ্য অনুযায়ী সাবান বা ছাই দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। সবাই পরিচ্ছন্ন থাকলে রোগটির বিস্তার অনেকটাই রোধ করা সম্ভব।
এসএস
মন্তব্য করুন