• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্কুলের গাছ ও ইট ভাগবাটোয়ারা করে নিলেন প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি (উত্তর), আরটিভি অনলাইন

  ০৯ মার্চ ২০২০, ১৬:০৭
স্কুলের গাছ ও ইট ভাগবাটোয়ারা করে নিলেন প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন
স্কুলের কাটা গাছের একটি অংশ। ছবি: আরটিভি অনলাইন

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর শরিয়ত উল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাঁঠাল ও মেহগনি গাছ এবং পুরনো একটি ভবনের ইট ও লোহা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক সদস্য ও নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর দাবি ওই সব জিনিসের বাজার মূল্য কমপক্ষে আট লাখ টাকা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি এলাকাবাসী।

জানা যায়, সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়টির একটি নতুন ভবন নির্মাণের টেন্ডার হয়। এতে কর্তৃপক্ষ স্কুলের কাঁঠাল গাছ, মেহগনি গাছ, শিশব গাছ সহ ১৫টি বড় গাছ কেটে ফেলেন। একই সঙ্গে একটি চার কক্ষবিশিষ্ট পুরনো ভবন ভেঙে ফেলা হয়। পরে সেগুলো উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল মন্ডল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, পরিচালনা কমিটির সদস্য উমর আলী, নৈশ প্রহরী কুতুব উদ্দিন মিলে আত্মসাত করেন।

বিদ্যালয়টিতে সরেজমিন যেয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্কুলের চার কক্ষবিশিষ্ট পুরনো একটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভবনের ইট, টিন, লোহার পাত কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এলাকাবাসী জানান, পাঁচ ট্রলি ইট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জালাল মন্ডল ভুরুঙ্গামারী সদরে তার বাড়িতে নিয়ে যান। বাকি ইট বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। টিন এবং লোহার পাতের কোনো হদিস মেলেনি।

এদিকে ওষুধ কোম্পানির ছোট একটি প্যাডের কাগজে স্বাক্ষর এবং সীলমোহর দিয়ে একটি মরা গাছসহ কয়েকটি গাছ কাটার অনুমতি দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। এই অনুমতির বলে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করে ভাগবাটোয়ারা করে নেন প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক সদস্য।

স্কুলের পাশে বসবাসরত লোকজন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এসব কর্মকাণ্ড করা হয়েছে। যে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে তার বাজার মূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। আর পুরনো ভবনের ইট ও লোহার দাম ৩ লাখ টাকার মতো।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, সব কিছু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নির্দেশে করা হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

এদিকে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল মন্ডল জানান, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো বিক্রি করা হয়নি। বরং সেগুলো স্থানীয় বিভিন্ন করাতকলে রাখা হয়েছে। তবে তিনি বিদ্যালয়ের ইট নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় বর্মণ জানান, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাছ কাটার লিখিত কিংবা মৌখিক অনুমতি কেউ নেননি। বিষয়টি আমরা জেনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh