• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

টাঙ্গাইলের আদিবাসী নারীরা জানেন না নারী দিবসের তাৎপর্য

মোস্তফা কামাল নান্নু, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

  ০৮ মার্চ ২০২০, ১৮:৩০
টাঙ্গাইলের আদিবাসী নারীরা জানে না নারী দিবসের তাৎপর্য
টাঙ্গাইলের আদিবাসী নারীরা মাঠে শ্রমিকের কাজ করছেন। ছবি: আরটিভি অনলাইন

পাহাড়ি লাল মাটির সৃষ্টির ইতিহাসের মতোই টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলের আদিবাসী নারীদের জীবন-যাত্রার ইতিহাস। তারা মাতৃতান্ত্রিক সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করে আসছেন। রীতি মতে, ভূমির অধিকার যেমন নারীর, তেমনি পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বও তার।

এ অঞ্চলে প্রধানত গারো সম্প্রদায়ের লোক বাস করে। তবে কিছু সংখ্যক কোচ সম্প্রদায়ও রয়েছে। তবে এরা উভয়েই মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে বাস করে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ নারীই জানেন না নারী দিবস ও এর তাৎপর্য। স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশকেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি কিছুই।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রায় ২০ হাজার ২৭ জন আদিবাসী মানুষ বাস করে। তার মধ্যে ১ হাজার ৩৪০ জন পুরুষ এবং ৯ হাজার ৬৮৭ জন নারী বাস করেন।

মাতৃতান্ত্রিক অধিকারে সংসারের কর্তা হলেও এসব নারীর জানা নেই তাদের ভাগ্য উন্নয়নের মন্ত্র। বেশিরভাগ নারীই শ্রম বিক্রি করেই তাদের জীবন নির্বাহ করেন। পুরুষের সমপরিমাণ কাজ করেও পাচ্ছেন না পুরুষের সমান পারিশ্রমিক।

দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে মাতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর সম্মানের অধিকার। পৃথিবী আলোকিত হলেও তাদের সম্মানের জায়গাটুকু থেকে যাচ্ছে অন্ধকারে। তবুও শ্রম বিক্রি করেই জীবন নির্বাহ করেন তারা। পরিবারের কর্তা হলেও সমাজের অন্য আর দশটি নারীর মতোই ঘরের গৃহস্থালি কাজকর্ম তাকেই করতে হয়।

গৃহস্থালির সমস্ত কাজ সুনিপুণভাবে শেষ করে বেরুতে হয় জীবিকার সন্ধানে। এই সময় তাদের পুরুষ সদস্যটি কোন চায়ের দোকান অথবা আড্ডায় পার করছেন অলস সময়।

যেহেতু নারী পরিবারের কর্তা সেক্ষেত্রে পুরুষেরা কাজ করলেও, নারীদের সমান পরিশ্রম করে না। তবুও পুরুষের মজুরি বেশি হওয়ায় ক্ষোভ আদিবাসী নারীদের।

টাঙ্গাইল মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজনীন সুলতানা বলেন, সমঅধিকার বঞ্চিত নারীরা গোলকধাঁধায় আটকে আছেন এখনো। বিভিন্নভাবে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তাদের সমঅধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।

সমাজের সব শ্রেণির নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় থাকুক এমনই তাৎপর্য নারী দিবসের এবং সকল ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার বজায় থাকুক এ প্রত্যাশা আজকের বিশ্ব নারী দিবসে।

মধুপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জস্টিনা নকরেক বলেন, সামাজিকভাবে নারীকে সম্মান না জানালে আদৌ নারীর উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তাদের প্রয়োজন জাগরণের। তেমনি আরও বেশি প্রয়োজন এই সময়ে নারীকে দেখা পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির।

নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা মধুপুর আচিক-মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ম্রং মনে করেন, আদিবাসীদের বৈষম্যের চিত্রই প্রমাণ করে আদিবাসীর করুণ চিত্র। এ থেকে নারীকে মুক্তি পেতে হলে তাকে শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে হবে।

এজে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতির আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
নারী দিবস উপলক্ষে ভারতে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস, গুরুত্ব
X
Fresh