• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এবারও ভোগাবে কি ডেঙ্গু, কতটা প্রস্তুত ঢাকার নগর কর্তৃপক্ষ? (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল, আরটিভি

  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪৫
এবারও ভোগাবে কি ডেঙ্গু, কতটা প্রস্তুত ঢাকার নগর কর্তৃপক্ষ?
এবারও ভোগাবে কি ডেঙ্গু, কতটা প্রস্তুত ঢাকার নগর কর্তৃপক্ষ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই নগর কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতিতে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এ মৌসুমেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি গতবারের মতো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বে-নজির আহমেদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে এই মৌসুমে ঢাকা উত্তরের ১০ শতাংশ ও দক্ষিণের ১২ শতাংশ ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ডেঙ্গু মোকাবেলায় রাজধানীর ১শ’টি এলাকায় ১ হাজার বাড়ি ঘুরে ঢাকার দুই সিটির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বর্ষা পরবর্তী ওই জরিপে উত্তর সিটি করপোরেশেনের ১০ শতাংশ ও দক্ষিণের ১২ শতাংশ ওয়ার্ডকে ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা উত্তরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ১২, ১৬, ২৮, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ও উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর। আর ঢাকা দক্ষিণে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে ৫, ৬, ১১, ১৬, ৩৬ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি ঘটেছে অনেক। আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায়। সেই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি চায় না নগরবাসী।

গতবারে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থাকলেও এখনো পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেনি ঢাকার দুই নগর কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, নতুন ওষুধ আমদানি করা হয়েছে। এখন সব অংশিজনদের নিয়ে মশা নিধনে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, নতুন পুরান যতগুলো ওয়ার্ড আছে সেখানে আমরা অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম করছি। আমাদের যেসব মেশিন অকার্যকর আছে সেগুলো মেরামত করে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ বলেন, আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো আছে, এবং সেই মোতাবেক আমরা এগুচ্ছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমদ বলেন, গতবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অবিলম্বে নগর কর্তৃপক্ষের মাঠে নামা উচিত। লোক দেখানো অভিযান না চালিয়ে কাজ দিয়ে নগরবাসীদের রক্ষা করতে হবে।

এডিসের বংশবিস্তারের অন্যতম উৎসের ৪০ শতাংশই নির্মাণাধীন ভবন। সে সব ভবনে তিন দিনের বেশী পানি জমিয়ে না রাখতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন দুই সিটি করপোরেশন।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, খরচ ১২০ টাকা
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে ২৪
‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় সারাদেশে প্রস্তুত হাসপাতালগুলো’
ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে মাঠে নামছে ডিএসসিসির ৫৪ ওয়ার্ড
X
Fresh