• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

গোয়ালন্দ থানার ওসির রুমে ঢুকতে লাগে না অনুমতি, বলতে হয় না স্যার

এম. মনিরুজ্জামান (রাজবাড়ী), আরটিভি অনলাইন

  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৪২
গোয়ালন্দ থানার ওসির রুমে ঢুকতে লাগে না অনুমতি, বলতে হয় না স্যার
গোয়ালন্দ থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে ঢুকতে অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই, তাকে বলতেও হয় না স্যার। একজন সরকারি কর্মচারী হয়েই সাধারণ মানুষের সেবায় জনগণের কাছে নিজেকে এভাবেই উপস্থাপন করেছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান।

প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ শুনছেন সরাসরি। এরপর ঘটনার সত্যতা যাচাই শেষে দিচ্ছেন আইনি সহায়তা।

ইতিমধ্যে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর হামিদা নামের এক যৌনকর্মীর জানাজার ব্যবস্থা ও জনগণের দরবার গড়ে তুলে তিনি রাজবাড়ীসহ সারা দেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

সাধারণত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে প্রবেশ করতে অনুমতির প্রয়োজন হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ সরাসরি ওসির রুমে প্রবেশ করে তার সঙ্গে কথা বলবেন, সচরাচর এটা দেখা যায় না। কিন্তু ব্যতিক্রম গোয়ালন্দ থানা।

সেখানকার ওসির রুমের দরজায় ঝুলছে ‘ইহা একজন গণ কর্মচারীর অফিস। যে কোন প্রয়োজনে এই অফিসে ঢুকতে অনুমতির প্রয়োজন নাই। সরাসরি রুমে ঢুকুন। ওসি-কে স্যার বলার দরকার নাই।’

ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগ গ্রহণ করে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. আশিকুর রহমান প্রশংসা পাচ্ছেন। ওসির এমন উদার মহানুভবতায় অবাক জেলাবাসীসহ থানায় আইনি সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ।

জানা যায়, ওসি আশিকুর রহমান গত ১১ জানুয়ারি যোগদান করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানায়। তারপর থেকেই নিতে থাকেন ভিন্নধর্মী সেবামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ। গত ২ ফেব্রুয়ারি দৌলতদিয়া পতীতাপল্লীর বয়স্ক এক যৌনকর্মী মারা গেলে তার জানাজা নামাজ পড়িয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন তিনি। এই উদ্যোগের কারণে ইতোমধ্যেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।

পাশাপাশি তিনি দৌলতদিয়া পতীতাপল্লীর অসহায় নারীদের বিভিন্ন অভিযোগ ও আইনি সহায়তা প্রদানে সেখানে গড়ে তুলেছেন ‘জনগণের দরবার’ নামে একটি আইনি সহায়তা কেন্দ্র। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেখানে গিয়ে অসহায় নারীদের দিচ্ছেন আইনি সহায়তা। ওসির এমন কর্মকাণ্ডে অনেক খুশি দৌলতদিয়ার যৌনকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এমন উদার মন-মানসিকতা সম্পন্ন একজন পুলিশ কর্মকর্তা পেয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় আরও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh