• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

চট্টগ্রাম সিটিতে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ?

কাজী মনজুরুল, চট্টগ্রাম

  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৩১
চট্টগ্রাম সিটিতে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি ?

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি, সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। কে পাচ্ছেন দলের মনোনয়ন? এ নিয়ে ফেসবুকেও চলছে অনুসারীদের নানা মন্তব্য।

আওয়ামী লীগের মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ ও প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান ব্যবসায়ী হেলালউদ্দিন চৌধুরী তুফান, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. মাহাবুবুল চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য এ কে এম বেলায়েত হোসেন, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ সালাম, মহানগর-৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবর রহমান, মেজর ইমদাদুল ইসলাম (অব.), মো. ইনসান আলী, মোহাম্মদ ইউনুস, সেলিনা খান, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেখা আলম এরশাদুল আমিন, মো. মনোয়ার হোসেন ও দীপক কুমার।

জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। ঢাকায় দলীয় কার্যালয়ে ফরম বিক্রি ও জমা নেয়া হয় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৯ জন। সিটি করপোরেশনের মোট ওয়ার্ড ৪১টি, সংরক্ষিত নারী আসন ১৪টি। এর বিপরীতে ৪০৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী কাউন্সিলর ফরম সংগ্রহ করেছেন।

মনোনয়ন ফরম বিক্রির পর থেকেই চট্টগ্রাম নগরী জুড়ে আলোচনা কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এ নিয়ে প্রার্থীর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে লেখালেখি করে যাচ্ছেন।

নগরজুড়ে আলোচনা চলছে আ জ ম নাছির উদ্দিন কী আবারও মনোনয়ন পাবেন নাকি অন্য কাউকে দল থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে দলের একটি অংশের দূরত্ব আছে। এছাড়াও মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে ইশতেহারের অনেক কিছু বাস্তবায়ন করতে পারেননি, এমন অভিযোগও আছে নাছিরের বিরুদ্ধে।

প্রায় বছর খানেক ধরে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানিয়ে আসছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। নাগরিক উদ্যোগের প্রধান এই উপদেষ্টা জনবান্ধব নানা কর্মসূচি দিয়ে বছরজুড়ে ছিলেন আলোচনায়।

একই সঙ্গে কিছুটা জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নাম। দুইজনই দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে এলেও কোনও পদ পাননি।

তবে হঠাৎ করে সাবেক মেয়র মনজুর আলমের মনোনয়ন নেয়াকে কেন্দ্র করে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর আগে মনজুর আলম বিএনপির মনোনয়নে মেয়র হয়েছিলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ-এর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ এবং প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফানকে নিয়েও আলোচনা চলছে নগরজুড়ে।

মেয়র পদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যানকে ও তুফানকে মানা হচ্ছে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হেলাল উদ্দিনের বড় ভাই সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। মেজ ভাই মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বর্তমান নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম। ঢাকায় আতিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়ার চট্টগ্রাম যেহেতু বাণিজ্যিক রাজধানী তাই কথা হচ্ছে মহাবুবুল আলমকে নিয়েও।

তবে সব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে আজ সন্ধ্যায়। ৭টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা শেষে ঘোষণা হতে পারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নাম। এর আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

এজে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh