• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ষোলশহর রেল স্টেশনে ন্যূনতম যাত্রী সেবা নেই (ভিডিও)

কাজী মনজুরুল, চট্টগ্রাম

  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:০৭

চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশনটি নানা সমস্যা নিয়ে চলছে। ছয়টি রেল লাইনের মাঝে তিনটি লাইন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এর পাশাপাশি যাত্রী ছাউনি ও টয়লেট ব্যবস্থা নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ রয়েছে। এছাড়া স্টেশনটির অনেক জায়গা দখল চলে গেছে প্রভাবশালীদের হাতে।

রেল কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ চলছে তার মধ্যেই স্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হবে । অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেল সঠিক পথেই আছে, কিন্তু এর ফলাফল পেতে হলে বিভিন্ন খাতে যে দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকে তাকে উৎখাত করতে হবে।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম–হাট হাজারী সেকশনটি ১৯২৯ সালে, হাট হাজারী–নাজিরহাট সেকশনটি ১৯৩০ সালে এবং ষোলশহর–দোহাজারী সেকশনটি ১৯৩১ সালে চালু করা হয়। তখন থেকেই চট্টগ্রাম ষোলশহর স্টেশন থেকে যাত্রী উঠানামা করা হয়। এই স্টেশনটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনসহ ৩০টি ট্রেনে প্রতিদিন যাত্রী উঠানামা করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রীদের বেশিরভাগ এই স্টেশনটি ব্যবহার করে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু বি শ্রেণির স্টেশনটি নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই।

বর্তমানে ষোলশহর স্টেশনের ছয়টি রেল লাইনের মধ্যে চালু আছে তিনটি। আর তিনটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। দুই পাশে যাত্রী ছাউনি নেই। নেই যাত্রীদের বসার স্থান। পাবলিক টয়লেট না থাকায়ও যাত্রীদের বেকায়দায় পড়তে হয়। স্টেশনে রাখা পরিত্যক্ত বগিতে বসে মাদকের আসরও।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, এখানে যাত্রী ছাউনি নেই, বসারও কোনও স্থান নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের টয়লেটের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় বিপদে পড়তে হয়।

এদিকে স্টেশনটির বিভিন্ন জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা করেছে প্রভাবশালীরা । বিষয়টি স্বীকার করে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জাফরুল্লাহ জানালেন, দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ভূসম্পত্তি শাখায় চিঠি দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেল লাইন চালু হওয়ার আগেই স্টেশনটি আধুনিকায়ন হবে বলে জানালেন রেলওয়ের চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পূর্ব) এ এম এম শাহনেওয়াজ।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, রেলের বিভিন্ন খাতে যে দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকে তাকে উৎখাত করতে হবে। বর্তমানে যে পজিটিভ মুভমেন্ট আছে তা যদি জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়, তাহলে রেল আবারও জনগণের ১ নম্বর পরিবহনের জায়গাতে যাবে।

এছাড়া ভূসম্পত্তি যে দখল ও নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেয়া আছে তা দখল মুক্ত করে এই সম্পদ থেকে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে । তাহলে রেল নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh