ফিটনেসবিহীন গাড়িতে জ্বালানি না দেয়ার হাইকোর্টের নির্দেশনা মানছেন না কেউ (ভিডিও)
ফিটনেসবিহীন গাড়িতে জ্বালানি না দেয়ার হাইকোর্টের নির্দেশনা মানছেন না কেউই। নামকা ওয়াস্তে ফিটনেস সার্টিফিকেটের কথা জিজ্ঞেস করেই দেয়া হচ্ছে জ্বালানি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বললেন, কোর্টের কাছে আরও কঠোর নির্দেশনা চাইবেন তারা। আর পুরনো গাড়ির ফিটনেস পেতে ডিজিটাল সিস্টেমের পরিবর্তে এনালগ সিস্টেম কার্যকরের কথা বলছেন মালিকপক্ষ।
ফিটনেসবিহীন গাড়িতে জ্বালানি না দিতে গেল ২৩ অক্টোবর নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন তিন লাখ ৯০ হাজার ৫১টি গাড়ির ফিটনেস নবায়ন করতেও দুই মাস সময় দেন আদালত। আদালতের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাজধানীর পেট্রোলপাম্পগুলোতে নেই তেমন কোনও তৎপরতা। অনেকটা দায়সারাভাবেই চলছে জ্বালানি সরবরাহ কার্যক্রম।
জ্বালানি নিতে আসা এক ব্যক্তি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা শর্তেও বিভিন্ন পাম্পে দেখা যায়, তাদের শুধুমাত্র সাইনবোর্ড টাঙানো আছে, পাম্পকর্তৃপক্ষরা কোনরকম জিজ্ঞাসাবাদ করে না।
তবে জ্বালানি সরবরাহকারীদের দাবি, সঠিক পথে আদালতের নির্দেশনা মেনেই কাজ করছেন তারা।
এদিকে বিআরটিএ’র গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিজিটাল সিস্টেমের পরিবর্তে এনালগ সিস্টেম কার্যকর চান গাড়ির মালিকপক্ষ।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য আবদুল ওয়াদুদ মাসুম বলেন, ‘বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ কমিশনারে কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে যে গাড়িগুলো ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে, যেগুলো ঠিক আছে সেগুলো যেনো ম্যানুয়ালি দেয়া হয়’।
কিন্তু সমীকরণ যাই থাকুক অতসব যুক্তি মানতে নারাজ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, সংবিধানের আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩-এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনে আদালতের কাছে আরও কঠোর নির্দেশনা চাইবেন তারা।
ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। ফিটনেস এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন বলেও জানান এ আইনজীবী।
মন্তব্য করুন