উল্টো পথে যাত্রা : অনুশোচনা নেই আইন ভঙ্গকারীদের (ভিডিও)
উল্টো পথে গাড়ি নিয়ে চলতে মন্ত্রী-এমপিসহ সবাইকে কয়েক দফা নিষেধ করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলছেন, এজন্য কাজ করছে বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব না হলে বন্ধ করে যাবে না সড়ক পথে বিশৃঙ্খলা।
আইন মেনে চলার জন্য সচিবালয়ে একসভায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আমিসহ কোনও ভিআইপিকে উল্টোপথে চলাচলের জন্য অ্যালাও করবেন না। তবে বারবার তাগিদ দিলেও কেউ-ই কানে তুলছে না। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যে যার মতো ছুটছে।
রাজপথ থেকে শুরু করে শাখা রোড কিংবা অলিগলিতে উল্টো পথে লেন ভেঙে চলাচলে জুড়ি নেই শহরবাসীর। চোখের সামনে এমন অনিয়ম যেমন সবার চেনা। তেমনি আইন ভঙ্গকারীদেরও এ নিয়ে নেই কোনও অনুশোচনা।
তবে আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে না-পারাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন, বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘উল্টো দিক দিয়ে যানবাহন আসার কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। নিজেদের মানুষিকতা পরিবর্তন করতে হবে যে সময় বেশি লাগলেও সঠিক পথ দিয়ে যাব’।
নিরাপদ সড়ক চাই’র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যেভাবে কাজ করার দরকার কারণ কাজটা হলো কন্টিনিউ কাজ। ট্রাফিক সপ্তাহ, পক্ষ ও মাস বলে কিছু নেই, ট্রাফিক দৈনন্দিন কাজ, প্রতিদিনের কাজ’।
ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শৃঙ্খলা ধরে রাখার জন্য আমরা সর্বেচ্চো কাজ করে যাচ্ছি।
আর বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসানের দাবি অনিয়ম বন্ধে কাজ করছেন তারা। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা। সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রীও সবসময় বলে সড়কে শৃঙ্খলা যেকোনো মূল্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা বিদেশে গেলে মানি দেশে মানবো না কেন।
এসএস
মন্তব্য করুন