• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাইড শেয়ারিং: গ্যারেজে না রেখে রাতদিন রাস্তায়, চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ (ভিডিও)

শরিয়ত খান, আরটিভি

  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:০১
রাইড শেয়ারিং: গ্যারেজে না রেখে রাতদিন রাস্তায়, চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ
ফাইল ছবি

রাইড শেয়ারে যানবাহন ভাড়া দেয়াকে ব্যবসা হিসাবে নিয়েছেন রাজধানীর অনেকে। গ্যারেজে না রেখে প্রাইভেটকার বা মোটরসাইকেল চালকদের ভাড়া দিচ্ছেন তারা। ফলে রাজধানীর রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করা না হলে, ভবিষ্যতে রাজধানীর চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরবে।

মোহাম্মদ রায়হান আলী অন্য পেশায় সংসারে সচ্ছলতা আনতে না পেরে গাড়ি কিনে শুরু করেন রাইড শেয়ারে যাত্রী পরিবহন ব্যবসা। এক বছর এই পেশায় জড়িত থাকলেও তিনি জানেন না রাইড শেয়ারিং কি?

শুধু রায়হান আলী নন, রাইড শেয়ার-এ যুক্ত বেশীরভাগ রাইডারেরই এ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। অ্যাপ ব্যবহার করে সার্বক্ষণিক যাত্রী পরিবহন করে চলেছেন।

এই সুযোগে অনেকে ব্যবসাও শুরু করেছেন। রেন্ট-এ কারের মতো মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিচ্ছেন নিজের গাড়ি বা মোটরবাইক। যার ফলে গ্যারেজে না থেকে বিপুল সংখ্যক যানবাহন দিনভর রাজধানীর রাস্তায় চলছে। অতিরিক্ত চাপে বাড়ছে যানজট।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, রাজধানীতে মোটরসাইকেল রয়েছে সাত লাখ ১৫ হাজার ৮৯৭টি। অথচ রাইড শেয়ারিং চালু হওয়ার আগে যে সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৮টি। গত চার বছরে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে ৬৮ হাজার ৯১৮টি, আর ট্যাক্সিক্যাব নিবন্ধিত হয়েছে মাত্র ১৩৪টি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ৮০ শতাংশের উপরে মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। তার মানে মোটর সাইকেলে সংখ্যা আশঙ্কা হারে বেড়ে চলেছে। কতগুলো মোটর সাইকেলকে বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন দিবে সে বিষয়ে তাদের স্টাডি করা উচিত, তা না হলে এটি মোটর সাইকেলের শহর হিসেবে পরিচিত লাভ করবে। তখন ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।

এছাড়া রাইড শেয়ারিং এর জন্য রাজধানীতে প্রতিদিনই আসছেন অন্য জেলার বাইকাররা। সবাই রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে না পারলেও ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছেন। অথচ রাইড শেয়ারিং মানে হচ্ছে যাত্রাপথে নিজের যানবাহনের খালি আসনে একই পথের অন্য যাত্রীকে ভাড়ায় পরিবহন করা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যা একেবারেই মানা হচ্ছে না।

নিরাপদ সড়ক চাই’র সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ের নীতিমালা এখন আর চলেছে না। এখন ব্যবসা করার উদ্দেশে বা জীবিকা নির্বাহের জন্যই গাড়ি ও মোটর সাইকেল কেনা হচ্ছে।

এমন বিশৃঙ্খলা বন্ধে তেমন কোন আশার বানী শোনাতে পারেননি বিআরটিএ চেয়ারম্যান কামরুল আহসান, ‘এটি নিয়ন্ত্রণে বিআরটি’র এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম আছে। আমাদের এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের পাশাপাশি পুলিশেরও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম আছে। ঢাকা শহরে যে মোটর সাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে, সেটির ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ আসলে নেই’।

যানজট নিয়ন্ত্রণ ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাইড শেয়ারিং এ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দাবী জানান পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh