• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একটু একটু করে পাল্টে যাচ্ছে হাজেরার অভাবের গল্প (ভিডিও)

মারুফ রেজা, আরটিভি

  ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:২১

তীব্র আকাঙ্ক্ষা, কঠোর পরিশ্রম ও যথার্থ সুযোগে গ্রামের একজন সাধারণ নারীও রাখতে পারেন পরিবার-সমাজ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান। সমাজে এমন সফল নারীর সংখ্যা কম নয়। কিন্তু সাফল্যের আড়ালে থাকা প্রতিবন্ধকতাগুলোর কথা, ক’জন জানেন?

প্রতিটি সকালেই ব্যস্ততায় কাটে হাজেরা খাতুনের। দম ফেলারও যেন সময় থাকে না! হোক গরম বা কনকনে শীত! সাপ্তাহিক ছুটি বা কাজের দিন! কাক ডাকা ভোরে ঘুম ভেঙেই ছুটতে হয় গোয়াল ঘরের দিকে।

ছয়-ছয়টি গরুর খাবারের যোগান দেয়া, গোসল করানো ও দুধ সংগ্রহ করে গোয়ালার কাছে বিক্রি। হাজেরা খাতুনকে সবই করতে হয় একা।

ছোট্ট মাটির ঘরটাকে ভেঙে বড় পরিসরে ইটের বাড়ি তৈরি সাহস করছেন হাজেরা। তাই প্রয়োজন বাড়তি আয়।

টানাটানির সংসারে একটু সচ্ছলতা আনতে এক সময় বেসরকারি এক সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে দুটি গরু কেনেন। এরপর দুটি থেকে চারটি, চার থেকে ছয়..। একটু একটু করে পাল্টে যেতে থাকে অভাবের গল্পও।

নারী উদ্যোক্তা হাজেরা খাতুন বলেন, গরু কিনে ধীরে ধীরে সংসারের উন্নত করেছি। ছেলে মেয়েকে পড়ালেখা করাচ্ছি। আরেক ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছি। গরুর খামার দিয়েই লাভবান হচ্ছি।

হাজেরা খাতুনই আজ অনন্য উদাহরণ হয়ে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাঁচিনা গ্রামের আর ১০ জন নারীকে।

নারী উদ্যোক্তা সাইদা সুলতানা বলেন, গরু বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া এবং ঘর বাড়ি করেছি।

তবে সফলতার পথে আছে, নানা প্রতিবন্ধকতাও। সঠিক তথ্য ও ধারণার অভাব রয়েছে যেমন, তেমনি কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাওয়া বা যোগাযোগের বেলায়ও আছে, নানা সমস্যা।

সাইদা সুলতানা বলেন, গরুর টিকাগুলো ঠিকভাবে পাই না। কোনও কিছু পরামর্শের যেত হয় ভালুকায়। এছাড়া রাস্তাঘাট খারাপ। রাস্তাগুলো যদি ভালো থাকতো তাহলে গরুরদুধ সরাসরি উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করলে আরও বেশি দাম পেতাম।

গ্রামের অন্যান্য নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রেও, সাফল্যে মতো কমবেশি প্রতিবন্ধকতার গল্পও প্রায়, একই রকম।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চান প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh