• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিনামূল্যে পাঠ্যবই পেলেও গাইডবই কিনতে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল, আরটিভি

  ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৯

জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমানোয় রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হলেও বাড়ছে অভিভাবকদের ব্যয়। বিনামূল্যে পাঠ্যবই পেলেও গাইডবই কিনতে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস। অতিরিক্ত শিক্ষাব্যয় আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। গ্রামের তুলনায় শহরে খরচ প্রায় দ্বিগুণ।

এ অবস্থায়, শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা। আর আগামী বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়ার আশ্বাস দিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

ব্যস্ত সময় পার করছে রাজধানীর ছাপাখানাগুলো। ছাপা শেষে, কাটিং ও বাইন্ডিং হয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর টেস্ট পেপার ও গাইডবই চলে যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাইব্রেরিগুলোতে।

দেশে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকার গড়ে তিন থেকে ৪০০ টাকার পাঠ্যবই বিনামূল্যে দিলেও সেই শিক্ষার্থীকেই একেকটি গাইড বা সহায়ক বই কিনতে হয় প্রায় সমপরিমাণ টাকার। প্রায় প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা গাইড কিনতে গিয়ে, হিমশিম খেতে হচ্ছে, তাদের।

জাতীয় বাজেটের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল, মোট বাজেটের ১১ দশমিক চার শতাংশ। জিডিপি’র দুই দশমিক শূণ্য নয় শতাংশ। প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়ায়, শিক্ষায় টাকার অঙ্কে বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও, জিডিপি’র আনুপাতিক হারে তা বাড়ছে না। আর বরাদ্দের বেশিরভাগই শিক্ষকদের বেতন-ভাতায় চলে যাওয়ায়, শিক্ষার মানোন্নয়নও তেমন হচ্ছে না।

২০০৯ সাল থেকে সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা চালু হলেও, ৪০ শতাংশ শিক্ষক নিজেরাই এখনো তাতে অভ্যস্ত হতে পারেননি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা বাজেটের বড় এক অংশ ব্যয় হলেও, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এর ভাগ পায় না। ফলে, অভিভাবকদের বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে সেখানে।

বিনামূল্যে বই বিতরণ, উপবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্কুলে নিতে পারলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ধরে রাখা যাচ্ছে না। উচ্চবিত্তরা নিজেদের খরচ পুরোটাই মেটাতে পারছেন। মধ্যবিত্তরা কিছুটা পারলেও, নিম্নবিত্তরা একেবারেই পারছেন না।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh