• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে সর্দি-কাশিতেও মৃত্যু হতে পারে (ভিডিও)

মুক্তা মাহমুদ, আরটিভি

  ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:১০

অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ও যথেচ্ছ ব্যবহারে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার মত প্রাণঘাতী জীবাণু জীবনরক্ষাকারী ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। চিকিৎসকরা যাকে বলছেন, ‘সুপারবাগ’।

গবেষণায় দেখা গেছে, আইসিইউতে মারা যাওয়া রোগীদের প্রতি পাঁচজনের চারজনই মারা যাচ্ছেন, সুপারবাগে। তাই, এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন না হলে, ভবিষ্যতে সর্দি-কাশির মতো সাধারণ রোগও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

কথায় আছে, ‘লেবু বেশি কচলালে তেতো হয়’। অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ড্রাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে, বিশ্বজুড়ে তেমনটাই হচ্ছে। আর বাংলাদেশের অবস্থা, আরো ভয়ংকর!

দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা মেটাতে, গরু, হাঁস-মুরগি ও মাছ চাষে ব্যবহার হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক। এমন অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে, জীবাণুরা হয়ে উঠছে, অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীল। ফলে সুপারবাগ এখন মানুষের দেহে, মাটিতে-পানিতে, পরিবেশের সব জায়গায়।

১৯২৮ সালে পেনিসিলিনের পর, একের পর এক অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার, চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বর্ণযুগের সূচনা করে। আর, জীবনরক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারই এখন, মৃত্যুর অন্যতম কারণও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সায়েদুর রহমান এমনটাই জানালেন।

২০১৮ সালের মে-অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউ-তে মোট ৯৪০ রোগী ভর্তি হন। এদের মধ্যে মারা গেছেন, ৪০০ জন। যাদের বেশিরভাগের শরীরেই আবার, সুপারবাগের অস্তিত্ব মিলেছে।

নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা রোগীদের বড় এক অংশের মৃত্যু হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে।
বিএসএমএমইউ'র এনালেজেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ একেএম আকতারুজ্জামান বললেন, রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক সুরক্ষিত রাখা, সুচিকিৎসার অন্যতম শর্ত।

সুপারবাগের কারণে, ২০৫০ সাল নাগাদ বছরে প্রায় এক কোটি মানুষ মারা যাওয়ার আশংকা কোরে তাই, যেকোনো মূল্যে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের তাগিদ দিলেন তিনি।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আটা-ময়দা-সুজি দিয়ে তৈরি হতো অ্যান্টিবায়োটিক
X
Fresh