বুড়িগঙ্গার পাড়ে নতুন করে দখলদারদের তৎপরতা (ভিডিও)
উচ্ছেদ অভিযান শেষে নদী তীর উন্নয়নের কাজ শুরু না করায়, বুড়িগঙ্গার পাড়ের অনেক স্থানেই নতুন করে দখলদারদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা নিয়মিত মনিটরিং না থাকলে আবারো দখল হবে বুড়িঙ্গার পাড়। এদিকে উচ্ছেদ করা স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ না সরানোয় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্ত করতে চলতি বছরের শুরুর দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ। ছয়মাসের অভিযানে ৭২৫টি পাকা, ৯৮৬টি আধাপাকা স্থাপনাসহ প্রায় পাঁচ হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১২১ একর একর জমি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ১০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ১১ কোটি টাকা নিলাম বাবদ আদায় করা হয়।
উচ্ছেদের পর নদী তীরে স্থায়ী ওয়াকওয়ে নির্মাণের কথা থাকলেও তা এখনো শুরু হয়নি। এই সুযোগে অনেক স্থানেই অস্থায়ী বসতি গড়ে উঠতে দেখা গেছে। কামরাঙ্গীর চরের এই স্থানে ছয়মাস আগের অভিযানে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়। বর্তমানে সেখানে পিকআপ ও রিকশার গ্যারেজ গড়ে উঠেছে।
আবার নদীর দুই পাড় ধরে এভাবেই পরে রয়েছে ভাঙা বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ। ধুলাবালি আর কংক্রিটের স্তূপের কারণে রাস্তায় চলাচল কঠিন হয়ে পরেছে সাধারণ মানুষের। রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হলে নদীর জমি সম্পূর্ণভাবে দখলমুক্ত থাকবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তা।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীর দুই তীরে খুঁটি বসানোর কাজ শেষ করে দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
স্থায়ীভাবে নদী দখলমুক্ত করার স্বার্থে এলাকাবাসীকে সাময়িক কষ্ট মেনে নেয়ার আহ্বান জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
এসজে
মন্তব্য করুন