আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে প্রবাসী নারী কর্মীদের (ভিডিও)
আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে প্রবাসী নারী কর্মীদের। গেল তিন বছরে ২৯৪ জন নারী শ্রমিকের লাশ বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছে। যার মধ্যে আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। হঠাৎ করে কেন এতো নারী আত্মহত্যা করছেন তার সুষ্ঠু একটি তদন্ত জরুরি। নারীর সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যকর ভূমিকা নেয়া দরকার বলে মনে করেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
অমানবিক অত্যাচার আর সমাজের ভয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জর্ডান প্রবাসী নারীকর্মী শিউলী। বাধ্য হয়ে যৌনকর্মীর পেশায় আসার পর গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে তিনি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
প্রবাসের নারী কর্মীরা কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, তার স্পষ্ট একটা ধারণা পাওয়া যায় শিউলীর কথায়।
তবে সৌদি প্রবাসী ঢাকার কেরানীগঞ্জের এক নারী কর্মীর আত্মহত্যার কারণ মেনে নিতে নারাজ তার বড় বোন। তবে মৃত্যুর পাঁচ মাসেও তার মরদেহ দেশে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা।
তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে দেশে ফেরত এক নারী কর্মীর মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা হলেও ২০১৭ সালে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১২ জনে। গেলো বছর সে সংখ্যা ছিল ২৩ জন। আর এ বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসে আটজনের মৃত্যুর কারণ ছিল আত্মহত্যা। প্রবাসে আশঙ্কাজনক হারে নারীর আত্মহত্যা বাড়ছে বলে মনে করেন এই অভিবাসন বিশেষজ্ঞ।
ন্যায্য বেতন-ভাতা, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, মানবিক মর্যাদা এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে প্রবাসী নারীদের আত্মহত্যা কমানো সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
প্রবাসে নারীর মৃত্যুর কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং নারীর নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ সচিব রৌনক জাহান।
তবে, প্রবাসী অভিবাসী শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানসহ সামাজিক সুরক্ষার জন্য যথাযথ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পি/এসএস
মন্তব্য করুন