সঞ্চয়ে উৎসাহ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ
দিন দিন সঞ্চয়ে উৎসাহ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোর আমানত কমেছে গড়ে দেড় হাজার কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম এবং ব্যাংকে আমানতের সুদ কম হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।
দেশের নামকরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মনিনুর রহমান। বেতনও মোটামুটি ভালো। তবুও পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার। আগে পরিবারের খরচ মিটিয়ে ব্যাংকে কিছু রাখতে পারলেও এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। বরং বাড়তি খরচ মেটাতে ভাঙতে হচ্ছে সঞ্চয় বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক লাখ ৬ হাজার ৪২২ কোটি টাকার আমানত নিয়ে ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। যা সেপ্টেম্বর মাসে কমে দাঁড়ায় এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ আট মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটি আমানত হারিয়েছে এক হাজার ৪২২ কোটি টাকা। এছাড়া জনতা ব্যাংক হারিয়েছে ১ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। রূপালি ও অগ্রণী ব্যাংকের আমানতও হ্রাস পেয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর পাশাপাশি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এভাবে সঞ্চয় কমতে থাকলে, মানুষের সামাজিক সুরক্ষা এক সময় হুমকির মুখে পড়বে। কর্মসংস্থান, মজুরি বাড়াতে হবে তাহলেই সঞ্চয় বাড়ানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং সরকারি গুদামে পণ্যের মজুদ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
এসএস
মন্তব্য করুন