• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

হাসপাতালটিই যখন রুগ্ন

মো. আল আমিন টিটু, ভৈরব

  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৩৮

পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি বিকল বলে কেউ কেউ রোগীদের ফিরিয়ে দিয়ে অলস সময় পার করছেন। চিকিৎসকরা আসছেন বিলম্ব সময়ে। তালাবদ্ধ ঘরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে সরকারের লাখ লাখ টাকা দামের যন্ত্রপাতি। অসহায় রোগীরা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এই করুণ চিত্র ভৈরবের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।

জানা গেছে, যাতায়াতের সুবিধা থাকায় আশপাশের উপজেলা থেকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দৈনিক সাত থেকে আটশ’ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন। এই হিসেবে প্রতি মাসে অন্তত ২৫ হাজার রোগী এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন। তবে চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা নেয়া তাদের দ্বারা সম্ভব হয় না।

বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২১টি পদের মধ্যে পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিদিন ডেন্টাল, গাইনি, শিশুসহ জরুরি বিভাগে ১৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কোনও দিন পাঁচ থেকে সাতজনের বেশি চিকিৎসক হাসপাতালে আসেন না। কিন্তু হাজিরা খাতায় সবারই উপস্থিতির স্বাক্ষর থাকে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গেল ২০ জানুয়ারি থেকে অপারেশনের যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করণের চারটি অটোক্লেব মেশিন বিকল বলে হাসপাতালের সিজারিয়ান অপারেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে দূর থেকে প্রসূতি মায়েরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য ডা. কেএনএম জাহাঙ্গীর আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে থাকলেও তিনি হাসপাতালে থাকেন না। অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন তার ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেট হাসপাতাল মেডিল্যাবে।