• ঢাকা শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

বিজ্ঞানীদের সতর্কতা ভেঙে মঙ্গলে ১০ লাখ বসতি গড়তে চান ইলন মাস্ক

কানিজ ফাতেমা শিমু

  ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১৩

একদিন মঙ্গল গ্রহের যাত্রা হবে ফ্লাইট ট্রিপের মতো, অর্থাৎ মানুষ বিমানের মতো ভ্রমণ করে মঙ্গলে পৌঁছাবে। ফলে বুঝতেই পারছেন ভবিষ্যতে এমনটাই হবে যে, বিদেশ ভ্রমণের মতো আপনি মঙ্গল ভ্রমণ করতে পারবেন। স্টারশিপ কি মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাবে? এমন প্রশ্নে একজন এক্স ব্যবহারকারীকে ঠিক এমন উত্তর দিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। তবে কি তার সেই স্বপ্নই বাস্তব হতে চলেছে? কেনো না ইলন মাস্ক জানিয়েছেন ২০৩০ সালের মধ্যেই তিনি মঙ্গলে মানুষের জন্য গড়তে চান বাসযোগ্য শহর। আর ২০৫৪ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে তৈরি করবেন ১০ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী শহর।

সম্প্রতি, স্পেসএক্সের সুপার হেভি বুস্টার সফলভাবে লঞ্চ প্ল্যাটফর্মে অবতরণ করার পর, ইলন মাস্ক তার এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানান। স্পেসএক্সের এই সাফল্য মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য কম খরচে মহাকাশযান পাঠানোর সুযোগ তৈরি করবে বলেও মন্তব্য তার। মাস্ক আরও জানান, ৩০ বছরের মধ্যে সভ্যতা যুক্তিসংগতভাবে স্থিতিশীল থাকলে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখের বেশি মানুষের জন্য তৈরি করা হবে একটি স্বনির্ভর শহর।

এর আগে ২০২১ সালে আলোচিত এই মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। বলেছিলেন মানুষ অন্যান্য প্রাণীর মতো এক গ্রহের প্রাণী হতে পারে না। মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী প্রাণী হতে হবে। মানুষ আজ থেকে ৫০ বছর আগে শেষবার চাঁদের বুকে পা রেখেছিল। তাদের আবার সেখানে যেতে হবে এবং সেখানে স্থায়ী ভিত্তি তৈরি করতে হবে। এরপর মঙ্গলের বুকের শহর বানিয়ে মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী সভ্যতার ধারক ও বাহক হতে হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহ প্রতি ২৬ মাসে পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সেই সময়ের মধ্যে লাখ লাখ টন কার্গো ও যাত্রীবাহী খেয়াযান পাঠাতে হবে শহর গড়ে তোলার জন্য। ইলন বিশ্বাস করেন, যদি সভ্যতা যুক্তিসংগতভাবে স্থিতিশীল থাকে, তবে মঙ্গলে ১০ লাখ মানুষের একটি স্বনির্ভর শহর তৈরি করা সম্ভব হবে।

কিন্তু ইলন মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে সতর্ক করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু কোটস। তিনি জানান মঙ্গলে মানুষের উপস্থিতি সেখানে গবেষণা এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানকাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার মতে, মঙ্গলে শহর নির্মাণ করলে গ্রহটি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে, যা সেখানে প্রাণের সন্ধানের গবেষণাকে জটিল করে তুলবে। তাই সেখানে একজন নভোচারী পাঠানোই যথেষ্ট হবে।

অন্যদিকে, নাসার রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন রোভার মিশন ইতোমধ্যে মঙ্গলে ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানে কাজ করছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সেখানে অতীতে জীবাণু বা প্রাণীর উপস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি বজায় রাখা উচিত, যাতে মানবসৃষ্ট জৈবিক উপাদান দ্বারা গ্রহটি দূষিত না হয়।

তবে ইলন মাস্কের স্বপ্ন আর বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ—এই দুইয়ের মধ্যে সমঝোতা কীভাবে তৈরি হবে, এখন তা দেখার অপেক্ষায় পৃথিবী।

আরটিভি/এফআই

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এবার একই প্ল্যাটফর্মে শাকিব-তাহসান
কলা বেঁধে রকেট উৎক্ষেপণ করলেন ইলন মাস্ক, জানা গেল কারণ
সাড়ে ১৮ ঘণ্টা নয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত আসতে লাগবে ৩০ মিনিট
ট্রাম্প প্রশাসনে যে পদ পাচ্ছেন ইলন মাস্ক