কাজ হারানোর শঙ্কায় ফেরি ঘাটের কয়েক হাজার হকার (ভিডিও)
আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তবে সেতুটি উদ্বোধনের পরই গুরুত্ব হারাবে মাওয়া-জাজিরা রুটের ফেরি। কর্মচাঞ্চল্য কমবে একসময়ের ব্যস্ত ঘাটটির। সেতু নির্মাণে খুশি হলেও, কাজ হারানোর শঙ্কায় কয়েক হাজার হকার। পেশা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে।
দৃষ্টি হারানো হকার মোহাম্মদ জয়নাল জানান, প্রায় ৯ বছর আগে দুর্ঘটনায় দৃষ্টি হারান তিনি। এরপর থেকে মাওয়া-জাজিরার রুটের ফেরিতে বাদাম বিক্রি করছেন তিনি। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তার সঙ্গে যোগ দেয় ১০ বছরের ছেলেও।
আইসক্রিম বিক্রেতা আতিকুল ইসলাম এক যুগ ধরে এই ঘাটেই ফেরি করছেন। তবে সেতু হওয়ার খবরে তিনি বসে নেই। পেশা বদলের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
নদীর দুই পাড়ে এমন কয়েক হাজার হকার লঞ্চ, ফেরি আর ঘাটে পণ্য বিক্রি করে সংসাদ চালাতেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখে আনন্দিত হলেও কাজ হারানোর শঙ্কা ভর করেছে তাদের মনে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা এখানে ভাসমান বা হকার ছিল তারা আমাদের পরিকল্পনায় নেই, থাকলে হয়তো ভালো হতো। তাদেরকে একটা রিলিপ দিলে ভালো হতো, কিন্তু এটা আমাদের পরিকল্পনায় ছিল না। তবে আশা করছি, তারা অন্য পেশায় চলে যাবেন।
তিনি বলেন, আমাকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ হয়ে গেলে কি করতে হবে সেটা আমার প্রকল্পের মধ্যে নেই, তবে থাকলে ভালো হতো।
হকারসহ ঘাটকেন্দ্রিক যারা কর্মহীন হবে, তাদের জন্য বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ড. জাকির হোসেনের। তিনি বলেন, এখানে নতুন ব্যবসা তৈরি হবে। কিন্তু এই হকাররা হয়তো এখানে যুক্ত হতে পারবে না। সেখানে সরকারের দায়িত্ব, তাদেরকে বিকল্প সুযোগ করে দেওয়া।
মন্তব্য করুন