পদ্মা সেতু নির্মাণের গৌরব শুধু বাংলাদেশের : চীনা রাষ্ট্রদূত (ভিডিও)
পদ্মা নদীর তলদেশের মাটির গঠনগত বৈচিত্রের কারণে সেতু নির্মাণ করা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের। সেতু নির্মাণে যে ৩০টি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে ১৩টিই নতুন পদ্ধতির। এমনটিই জানালেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জামিং। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগের কারণেই পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই সেতু বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতার প্রতীক।
দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তে নিজেদের অর্থায়নে বাস্তব রূপ নেয় পদ্মা সেতু। অপেক্ষা এখন কেবল ২৫ জুনের। অথচ এ সেতু নির্মাণের কাজে ছিল নানামুখী চলেঞ্জ। সেসব চ্যালেঞ্জের কথাই তুলে ধরলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জামিং।
পদ্মা নদীর তলদেশের মাটির গঠনগত বৈচিত্রের কারণে সেতু নির্মাণের কাজ ছিল অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। ৩০টি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় সেতুটি নির্মাণে। পদ্ধতিগত দিক থেকে তার মধ্যে ১৩টিই নতুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব, রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করে চীন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জামিং বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের গৌরব শুধু বাংলাদেশের। সাধুবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বাংলাদেশিদের মতোই আমরা আনন্দিত। কারণ, এর নির্মাণে আমরাও অংশীদার। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং যখন বার বার দু’দেশের সর্ম্পকের কথা বলেন, তখনই পদ্মা সেতুর কথা বলেন।
লি জামিং বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়ার পর বিশ্বের চার দেশের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুর টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু চীন ছাড়া অন্য দেশের কোনো কোম্পানি এগিয়ে আসেনি। তাদের ধারণা ছিল, বাংলাদেশ এই অর্থ পরিশোধ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের কথা বলব না, শুধু বলব অর্থায়নে অনেকের বিশ্বাস ছিল না। তাদের ধারণা ছিল, বাংলাদেশ এই অর্থ পরিশোধ করতে পারবে না। কিন্তু চীন বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের প্রতি বিশ্বাস রেখেছিল।
বাংলাদেশের এমন উন্নয়নে অনেকেই খুশি না, সে জন্য বাংলাদেশকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চীনা রাষ্ট্রদূতের মুখে।
মন্তব্য করুন