• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ শিশুখাদ্যেও (ভিডিও)

ওয়ালিউল সাকিব

  ২৫ মে ২০২২, ১৫:৪৪

দুর্ভোগ মনে হয় আর পিছুই ছাড়বে না নিম্ন আয়ের মানুষের। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আগুনে পুড়তে হচ্ছে এখন মধ্যবিত্তদের। সম্প্রতি বেড়েছে সব ধরনের দুধের দাম। মূল্যবৃদ্ধির এই জোয়ার থেকে বাদ পড়েনি শিশুখাদ্যও।

মূল্যবৃদ্ধির ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই। দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও। প্রতিদিনই নিত্যনতুন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় অনেকেরই।

সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে দুধের দাম। আকারভেদে গুঁড়ো দুধের প্যাকেটপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তরল দুধ ৭ থেকে ১০ টাকা এবং খোলা তরল দুধের দাম বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ক্যানপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে কনডেন্সড মিল্কের দাম।

মূল্যবৃদ্ধির এই জোয়ারে ভেসেছে শিশুখাদ্যও। অতি প্রয়োজনীয় এই খাবারের দাম ৩০-৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সকলেই। এখনও প্রভাব না পড়লেও শিগগিরই বাড়তে পারে দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্যের দামও।

এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আগে দুধের দাম কম ছিল। এখন সব জিনিসের দাম বেশি। দুধের দামও বেশি।

আরেকজন ক্রেতা বলেন, দুধের দাম বেড়েছে। আগে যেটা কিনতাম ৫৭০ টাকা, এখন বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬৫০ টাকা।

দাম বাড়ায় ক্রেতাদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রি কমার পাশাপাশি ক্রেতাদের সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরি হওয়ায় অসহায়ত্ব ঝরেছে তাদের কণ্ঠে।

এক বিক্রেতা বলেন, একটা দুধ আগে কিনতাম ৫০-৫২ টাকা, এখন আমাদের পাইকারি ৭৫-৭৭ টাকায় কেনা লাগে।

আরেক বিক্রেতা বলেন, তরল দুধটার দাম আগে ৬৫ টাকা ছিল। এখন এটা বেড়ে ৯০ টাকা পর্যন্ত হয়ে গেছে।

শিশুখাদ্যসহ তরল ও গুঁড়ো দুধের মূল্যবৃদ্ধি খ্যাদ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি চরম হুমকি বলে অভিহিত করলেন ক্যাবের এই সহসভাপতি। সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি জোর দেন তিনি।

ক্যাবের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, দুগ্ধজাত পণ্য বা শিশুখাদ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে তারা নোটিশ করেনি। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই এই পণ্যগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে। এই দাম বাড়ার কারণে শিশুখাদ্য এবং দুগ্ধ জাতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ ভোক্তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। এক্ষেত্রে সরকার যদি ব্যবসায়ীদেরকে প্রণোদনা দেয়, সহযোগিতা করে এবং অবকাঠামোগত সহযোগিতা বেশি দরকার। তাহলে আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়বে, দেশীয় উদ্যোক্তারা এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে।

তিনি বলেন, এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। বাংলাদেশে ১৮ কোটি ভোক্তা। এখানে শিশুখাদ্যের যদি উৎপাদন বাড়ে, তাহলে বাজারজাত করতে আমার মনে হয় না কষ্ট হবে।

দ্রুত গতিতে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। তবে বাড়ছে না মানুষের আয়। সীমিত আর নির্দিষ্ট জীবিকায় কঠিন হয়ে পড়ছে জীবনধারণ। উত্তরণের পথ জানা নেই, নেই আয় বাড়ানোর উপায়ও। তাই তো শঙ্কা আর উৎকণ্ঠার পাহাড়ে চাপা পড়ছে জনমানুষ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুনিয়ার ক্রেতা এক হও 
বেঁধে দেওয়া পণ্যের দাম ৭ দিনেও কার্যকর হয়নি (ভিডিও)
ঈদের আগেই মসলায় ঝাঁজ বেড়েছে
বাজারের শুভ উদ্যোগগুলো আরও দীর্ঘ হোক
X
Fresh