ঈদযাত্রা দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে ভয়াবহ যানজটে (ভিডিও)
ঈদযাত্রা দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কে। বিআরটি প্রকল্পের কারণে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর নির্মাণ সামগ্রী রাখায় স্বাভাবিক সময়েই যানজট লেগে থাকে। এরসঙ্গে ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের বাড়তি চাপ যোগ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা যাত্রী-চালকদের। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দুর্ভোগ আর ভোগান্তির অপর নামে পরিণত হয়েছে উত্তরা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা। বছরের পর বছর ধরে চলা ধীরগতির বিআরটি প্রকল্পের কারণে এ পথের যাত্রীরদের নাভিশ্বাস ওঠে।
যদিও গত কয়েক মাসে দৃশ্যপটে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। গতি এসেছে প্রকল্পের কাজে। কিন্তু ঈদে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে এসব উদ্যোগ কতটা কাজে আসবে? যাত্রীরা বলছেন, অপরিকল্পিত কাজের কারণে তাদের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছে।
এক যাত্রী বলনে, এ কাজগুলো অতি দ্রুত সম্পন্ন হলে সবার জন্য ভালো হবে।
অপর যাত্রী বলেন, ম্যানেজমেন্ট লেভেলে যারা কাজ করে তারা যদি সিস্টেমেটিকভাবে কাজটা করতো, একটা ওয়েতে কাজটা আগে শেষ করে দেই, দ্বিতীয় ওয়েতে আরেকটা কাজ করি।
ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের চালকরা জানান, অস্বাভাবিক যানজটের কারণে গাজীপুর থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড যেতেই ঘণ্টা ছয়েক পার হয়ে যায়।
এক চালক বলেন, গাজীপুর চৌরাস্তাতে সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘণ্টা লাগে মহাখালী পর্যন্ত যেতে।
বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলায় এই মহাসড়কের টঙ্গী সেতু থেকে জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তার ১২ কিলোমিটার যেতেই দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সংস্কার কাজ অনেক এগিয়েছে, কমবে দুর্ভোগ।
বিআরটি প্রজেক্ট পিডি এ এস এম ইলিয়াস শাহ বলেন, আমরা কাজ করতেছি। টঙ্গী এলাকায় আমাদের যতটুকু বাকি আছে, ওইটুকু হয়ে যাবে। হয়ে গেলে পুরোটাই পাকা রাস্তা পাওয়া যাবে।
ঈদের বাড়তি চাপ সামল দিতে একসঙ্গে সব পোশাক কারখানার পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার আহ্বান ট্রাফিক বিভাগের।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অঞ্চলভেদে গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য যদি রিজার্ভ বাস করা যায়, তাহলে তারা একটা গার্মেন্টস থেকে তিন-চারটা বাসে করে যেতে পারবে। তাহলে ২০ লাখ শ্রমিক একই সময়ে রাস্তায় আসবেন না, প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না।
ঈদের ছুটিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এই সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে আগাম প্রস্তুতি না নিলে ঈদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন নগরবিদরা।
মন্তব্য করুন