• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শিল্প কারখানায় চলছে তীব্র গ্যাস সংকট (ভিডিও)

সেলিম মালিক

  ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৪১

দেশের শিল্প-কারখানাগুলোতে তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। শিল্প মালিকদের অভিযোগ, সংকট সমাধান চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার ধরনা দিলেও কোনো সমাধান মিলছে না। কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে সক্ষমতার মাত্র ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এমন বাস্তবতায় কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন অনেক শিল্প মালিক।

নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্প নগরীর অন্যতম বড় পোশাক কারখানা এমএস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড। কারখানটিতে ডাইং, প্রিন্টিং, ফিনিশিং প্রত্যেকটি সেকশনের উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে ১০০ টন। অথচ, গেল এক মাস ধরে তীব্র গ্যাস সংকটে উৎপাদন হচ্ছে ৩০ টনেরও কম।

কারখানার নির্বাহী পরিচালক জনি বলেন, গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে একদমই গ্যাস নেই। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে গ্যাস একদমই চলে যায়, অধিকাংশ মেশিন বন্ধ থাকে।

ফতুল্লা ডাইং কাখানায় তিনটি বয়লার মধ্যে কোনোরকমে চালু রাখা হয়েছে একটি বয়লার। গ্যাসের চাপ ১০ পিএসআই থাকার কথা থাকলেও দিনের বেলায় বেশির ভাগ সময়ই চাপ থাকে ৫ পিএসআইয়ের কম।

ফতুল্লা ডাইং অ্যান্ড কেলেন্ডারিং মিলস লিমিটেডের প্রধান প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক তুষার বলেন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অধিকাংশ সময় ৩ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকে।

কারখানাটির পরিচালক মিনহাজুল হক বলেন, এ সমস্যার কারণে কোয়ালিটিতে সমস্যা হয়। কাপড়টা আবার প্রসেস করতে হয়। ফলে কাপড়টা সময়মতো ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হয় না।

নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি জানান, এত দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস সংকটের মুখোমুখি হতে হয়নি কখনও। বারবার ধরনা দিয়েও মিলছে না সমাধান।

বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই অবস্থার যদি সমাধান না হয় তাহলে খুব দ্রুতই উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে, রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে, ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাবে। অবৈধ সংযোগগুলো যদি বিচ্ছিন্ন করা যায়, সরবরাহ লাইনে আমদানিকৃত এলএনজি যদি খুব দ্রুত নিশ্চিত করা যায় তাহলে আমরা এই সংকট থেকে উত্তরণ করতে পারব।

কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগের শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ও পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজস্ব সক্ষমতা না বাড়িয়ে কেবল এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সংকট কাটানো যাবে না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, যেসব উৎপাদন আটকে আছে, নতুনভাবে উৎপাদন শুরু করতে চাচ্ছে সেগুলোকে দ্রুত উৎপাদনে নিয়ে আসতে হবে। এ কাজটা করতে সদিচ্ছা ও সাহস দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের যে প্রশাসন, তাতে এ দুটোরই অভাব আমরা লক্ষ্য করতে থাকি।

এনএইচ/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)
খতনা যেন আতঙ্কের নাম (ভিডিও)
X
Fresh