• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আস্থা সংকটে ধুঁকছে পুঁজিবাজার (ভিডিও)

সেলিম মালিক

  ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:১১

ঝটপট মুনাফার আশায় শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছেন অনেক বিনিয়োগকারী। অবাস্তব খরচ দেখিয়ে কম লভ্যাংশ দিচ্ছে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানি। গুজব যেন পুঁজিবাজারের নিত্যসঙ্গী। এর ফলে তৈরি হয়েছে আস্থা সংকট। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটিকে জুয়া খেলার আস্তানায় পরিণত করেছে একটি চক্র। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দাবি, এখনও আশা হারানোর সময় আসেনি।

২০১০ সালের মহাপতনের পর থেকে পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে প্রণোদনার পাশাপাশি নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে কাজও হয়। বাজার বেশখানিকটা ঘুরেও দাঁড়ায়। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাসের জায়গাটি কখনোই দখল নিতে পারেনি টালমাটাল এই পুঁজিবাজার। সকালে ভালতো বিকেলে মন্দ। দুদিন ঊর্ধ্বমুখী তো চারদিন টানা পতন।

এক বিনিয়োগকারী বলেন, একদিন যদি উঠে, পাঁচদিনই খারাপ দেখায়।

আরেকজন বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তামাশা করছে। ১ শতাংশ, আধা শতাংশ এমনকি ২৫ পয়সা ডিভিডেন্ট। আমরা কি এখানে ভিক্ষা নিতে আসছি? তাদের শাস্তি দিক।

আরেকজন বিনিয়গকারী বলেন, ভারতে যদি ৫ থেকে ৬ হাজার ইনডেক্স থেকে ৫৮ হাজার ইনডেক্স হতে পারে, আমার দেশে কেন নয়?

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজার এখনও অনেকের কাছেই জুয়া খেলার বাজার।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, এখানে মন্দ শেয়ারের সংখ্যাটাই বেশি। যেকোনোভাবে তারা এসে গেছে। অনেকগুলো বড় বড় শিল্প গ্রুপ আছে, তাদের একটি কোম্পানিও লিস্টিংয়ে নেই। তারা কথাতে আসবে না, হয় তাদেরকে লোভ দেখাতে হবে অথবা পেটাতে হবে। আবার অনেকে বিনিয়োগ করতে চায় না। তারা ১০ খেকে ১৫ দিনে গেইন করে চলে যেতে চায়। এটা বিপজ্জনক। এটাকে জুয়া খেলা বানিয়ে ফেলেছে তারা।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আসলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর মতো আচরণ করে। সুতরাং, সেটাও বাজারকে অস্থিতিশীল করে।

তিনি আরও বলেন, যেকোনও অনিয়মের ক্ষেত্রে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা ননিতে আমরা খুব একটা দেখি না। যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সতর্ক করা হয়।

তাদের মতে, এই বাজার নিয়ে নেই কোনো গবেষণা। আর্থিক রিপোর্টগুলো কারচুপিতে ভরা।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলন, ডিএসই ও এসএসইতে কোনো গবেষণা নাই। এই বাজারের কোনো গবেষক নেই। একটা ব্যাংকেরও ৮ থেকে ১০ জন এনালিস্ট থাকে, রিসার্চ করে। কিন্তু এত বড় একটা সংস্থা ডিএসই, যার ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ কোটি টাকা রোজ ট্রেডিং হচ্ছে, ওনাদের গবেষণাকর্ম নেই, কোনো এনালিস্ট নাই। যত বেশি গবেষণানির্ভর সিদ্ধান্ত নেবে তত বেশি বাজার ও বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানও স্বীকার করলেন, এ বাজার এখনও পূর্ণাঙ্গ পুঁজিবাজারই নয়।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, এটাকে ক্যাপিটাল মার্কেট বানাচ্ছি। আগে এটা ছিল ইকুইটি মার্কেট। নতুন প্রোডাক্ট ও নতুন ধরনের আইটেম যখন আসবে, তখন এই মার্কেটের চেহারা চেঞ্জ হয়ে যাবে।

পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বাজারে পরিণত করতে বিএসইসি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এনএইচ/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সীমান্তে হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে : ফখরুল
হিলিতে ক্রেতা সংকট, কমেছে পেঁয়াজের দাম
প্রধানমন্ত্রীর কারণে দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ব্যাংকে এখন ডলারের চেয়ে টাকার চাহিদা বেশি
X
Fresh