সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবাধে চলছে কোচিং বাণিজ্য (ভিডিও)
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই চলছে কোচিং সেন্টার। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই। শিক্ষাবিদরা বলছেন, দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদাসীনতায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়েরও বিক্রি বেড়েছে। ফলে শিক্ষাখাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ কাজে আসছে না।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকার কথা। অথচ, নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে রাজধানীতে বহাল তবিয়তে চলছে অনেক কোচিং সেন্টার।
একই অবস্থা নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের। নজরদারির অভাবে কেবল নাম বদলে বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব বই। এরইমধ্যে বাজারে এসছে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের নোটবই।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বলছেন, অনিয়মের খবর পেলে আমরা যথাযত কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিব। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যদি আমাদের কোনো শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব। মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বলা হচ্ছে কোচিং বাণিজ্যটি যেন না চলে।
তিনি বলেন, কোনো শিক্ষক যদি ছাত্র পড়াতে চান, সেটা কীভাবে পড়াবেন তা সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এবং তার একটি নীতিমালা অবশ্যই তাদেরকে দেওয়া হবে।
এদিকে গাইড বইয়ের বিষয়ে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জানিয়ে ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, গাইড বই বা সহায়ক বই থাকবে, তবে প্রণীত বইটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অনুমোদন দেবে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলছেন, প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের মান বাড়ানো গেলে কোচিং ও গাইড বইয়ের প্রয়োজনীয়তা এমনিই কমবে। বাংলাদেশের মতো মধ্যম আয়ের দেশে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
আরএ/টিআই
মন্তব্য করুন