• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সংস্কারের ৪ মাসে আবারও দেবে গেল কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক

শেখ হাসান বেলাল, কুষ্টিয়া

  ১৫ নভেম্বর ২০২১, ২০:২৪
সংস্কারের ৪ মাসে আবারও দেবে গেল কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক
সংস্কারের ৪ মাসে দেবে গেল কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক, ছবি : প্রতিনিধি

সংস্কারের মাত্র চার মাসের মাথায় আবারও কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক দেবে গেছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় সড়কের দুই পাশই দেবে গেছে। দেবে গিয়ে সড়কে অনেকটা চিকন খালের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা, সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে চরম আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পরিবহন চালক ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকমাস আগেও গোলচত্বর এলাকায় একই স্থানে মহাসড়ক দেবে গিয়েছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামত করেছিল। কিন্তু মাত্র চার মাসের মাথায় মহাসড়ক আবারও দেবে গেছে।

তাদের দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই বার বার সড়কটি দেবে যাচ্ছে। সরেজমিনে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গোলচত্বর সংলগ্ন পশ্চিম-উত্তর মহাসড়কের কিছু অংশ দেবে গেছে। দেবে ছোট বড় বেশ কয়েকটি চিকন খালের মতো তৈরি হয়েছে। দেবে যাওয়া এই অংশ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করে। বাসস্ট্যান্ড এলাকাটি উপজেলার মধ্যভাগে অবস্থিত হওয়ায় সকল যানবাহন ও জনগণ এই স্থান দিয়েই চলাচল করে থাকেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাত্র আট মাস আগে এই মহাসড়কটি পুনর্নির্মাণ শেষ হয়েছে। পুনর্নির্মাণ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে চলতি বছরের জুনের দিকে গোলচত্বর এলাকায় সড়ক দেবে যায়। পরে গত ২০ জুন দেবে যাওয়া ওই অংশ মেরামত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে আবার সড়ক দেবে চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী বাসচালক সিদ্দিক হোসেন জানান, প্রতিদিনই তিনি এই মহাসড়ক দিয়ে বাস নিয়ে যান। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে সড়কের দুই দিকে দেবে গেছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাদেরকে ঝুঁকি নিয়েই এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

কুমারখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিক জানান, গোলচত্বর এলাকাটি তার নির্বাচনী এলাকায়। কয়েকবার একই স্থান দেবে গিয়ে খালের মতো সৃষ্টি হয়েছে। তার অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই বার বার এই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি সওজ (সড়ক ও জনপদ) বিভাগের দেখা উচিৎ। সওজের জায়গায় পৌরসভার কাজ করার সুযোগ নেই। তাই সমস্যা সমাধানে পৌরসভা কিছু করতে পারছে না।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মহাসড়কের কাজের ঠিকাদার মেহেরপুরের জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন। নানা কারণে জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন নামের এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত। এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মাণাধীন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ছাদ ধসে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।

মহাসড়ক দেবে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. শাকিরুল ইসলাম জানান, কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বরে কিছুদিন আগে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু পুনরায় দেবে গেছে। সেখানে এখন ঢালাই দিয়ে সংস্কার কাজ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পি/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল হাতির মরদেহ
দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
X
Fresh