দেশে ১২ হাজারের বেশি হাসপাতাল চলছে অবৈধভাবে (ভিডিও)
রোগীর প্রাণ বাঁচানোর দায়িত্ব চিকিৎসকের হাতে থাকলেও কখনও কখনও অদক্ষ চিকিৎসক যমদূতের মতো প্রাণ কেড়ে নেন রোগীর। দুর্বল আইনের কারণে স্বাস্থ্য সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ এই সেবাকে বাণিজ্যে রূপ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ভুয়া চিকিৎসকের সর্বোচ্চ সাজা তিন বছর এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও তাই বাস্তবায়ন করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে অপচিকিৎসা রোধে তারা কাজ করলেও অদৃশ্য কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক থাকলেও বেশির ভাগই মানে না সরকারি কোনও নিয়ম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবেই ১২ হাজারের বেশি হাসপাতাল চলছে অবৈধভাবে।
হাসপাতালে অনিয়মের দায়ে বিভিন্ন সময়ে কালে-ভদ্রে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দালাল ধরতেও অভিযান হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বেসরকারি হাসপাতালের অনিয়ম থাকলে সংশ্লিষ্টদের কিছু লাভ হয়, তাই বিষয়টি সমাধান না করে জিইয়ে রাখে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলেন, ‘৯০/৯৫ ভাগ হাসপাতালে অনিয়ম, দুর্নীতি আছে। উনারা ওই ধরনের ধারণাতেই যায় না। কারণটা হলো এই, এক হলো এরকম অনিয়ম থাকলে ওদের কিছু লাভ হয়। ওরা যখন যায়, একজনের নেই তো নানা ধরনের লেনদেন আছে। আর দুই নম্বর হলো, উনাদের সক্ষমতাও নেই। উনাদের সক্ষমতা বাড়াতে হলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে উপরের লেভেলে মন্ত্রণালয়ে।’
ভুয়া ডাক্তার ধরে জেল জরিমানাও হয়েছে। দুর্বল আইনের জাল ছিঁড়ে বেড়িয়ে যায় প্রতারকরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞাদ বলেন, ‘ভুয়া চিকিৎসক তো আমরা ধরছি, তাদেরকে পানিশমেন্ট দিচ্ছি। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক মাস, দুই মাস, ছয় মাসের জেল হয় অথবা অর্থদণ্ড হয়। সরকারি চিকিৎসক যদি হয় সেক্ষেত্রেও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।’
স্বাস্থ্য সেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতটির প্রতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দিলে হাসপাতালে কমবে ভোগান্তি বাড়বে সেবার মান, এমন মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ডব্লিউএস/ এসএস
মন্তব্য করুন