• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বেসরকারি হাসপাতালে বাণিজ্যের ফাঁদে চিকিৎসা ব্যবস্থা (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেলে, আরটিভি নিউজ

  ০৬ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৫৭
বেসরকারি হাসপাতালে বাণিজ্যের ফাঁদে চিকিৎসা ব্যবস্থা (ভিডিও)

প্রয়োজন হোক বা না হোক, আইসিইউতে পাঠিয়ে মোটা অংকের বিল করাই যেন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর। ফলে ভুতুড়ে বিলের কবলে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছে রোগীর স্বজনরা। সেবা নয় বাণিজ্যের জন্যেই এসব হাসপাতাল খোলা হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অবৈধ এসব হাসপাতালের লাগাম কেন টানতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর?

অভিজাত এলাকা উত্তরার জীবনযাত্রার ব্যয় একটু বেশি। হাসপাতালগুলো তার ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসার মানের কথা বলে, ব্যয় হালাল করার চেষ্টায় রত তারা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্বীকার করেছে, খরচ বেশির কথা। অভিজাত এলাকার দোহাই দিয়ে বেশি টাকার কথা বলেন তারা।

আইসিইউ কিংবা এনআইসিওতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক কিংবা নার্স থাকার কথা বললেও, পাওয়া যায়নি তাদের হদিস। এই হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক দিয়েই চালান এনআইসিইউর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।

নামেই বেটার লাইফ হাসপাতাল, রামপুরার এই হাসপাতালে সেবা আর ব্যয় নিয়ে অসন্তোষ আছে রোগীদের। অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে এক অভিযোগকারী আরটিভি নিউজকে বলেন, নার্সিং বিষয়টাই কোভিড স্পেশাল সার্ভিস, কোভিড এওয়ারনেস সার্ভিস, নার্সিং কস্ট এরকম বিভিন্ন নাম দিয়ে দিয়ে বিল করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি যে এগুলো তো একই মিনিং দাঁড়ায়। আপনি একই মিনিং দিয়ে তিন-চারটা নাম দিয়ে বিল নিচ্ছেন, তো এই বিষয়টা আসলে কেমন? এরপর বিষয়টা নিয়ে আর তেমন কোনো কথা বলতে চাননি। পরে তিনি আমাকে ডিসকাউন্ট দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন।’

মালিকপক্ষের দোহাই দিয়ে অভ্যর্থনা থেকেই হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। টেলিফোনে দুর্ব্যবহারও করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক।

মিরপুরে একই ভবনে দেখা মিলবে এমন এক হালি হাসপাতালের। চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এলাকাবাসীর। সেবার চেয়ে বাণিজ্যকেই বেশি প্রাধান্য দেয়ায় রোগীদের ভোগান্তি কমে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলেন, ‘যেটা সেবা আকারে শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেটা আসলে বাণিজ্যমুখী বা একটি বেনিয়াবৃত্তি চলে এসেছে এর মধ্যে। ছোট-বড় হাসপাতাল নির্বিশেষে এখানে সংখ্যাই বৃদ্ধি পেয়েছে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যদি আমরা মানের দিকে তাকাই, তাহলে সাধারণ অর্থে বলতে হয় ক্রমান্বয়ে মানের অবনতি ঘটছে। একটি চরম অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অনিয়ম চলছে প্রাইভেট চিকিৎসা ব্যবস্থায়। জিনিসটা যেন ঠিকমতো গড়ে ওঠে তারপর হলো মনিটরিং।’

সরকারি হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা না মেলায়, বেসরকারি এসব হাসপাতাল অপরাধ করার সুযোগ পায় বলে মনে করেন এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

ডব্লিউএস/পি/এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় ২ হাসপাতাল সিলগালা
অবৈধ চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ১০২৭
৭ দিনের মধ্যে দেশের বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য দিতে নির্দেশ
X
Fresh