• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

এত অভিযোগ, তবুও চলছে অবৈধ হাসপাতাল (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল

  ০৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৫১

খুলনার মাছের ব্যাপারী ঢাকায় অর্থোপেডিক সার্জন! খুলে বসেছেন হাসপাতাল। র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলেও বন্ধ হয়নি প্রতিষ্ঠান। ভুল চিকিৎসা, ভুয়া চিকিৎসকসহ নানা অভিযোগ থাকলেও ঠিকই চলছে অবৈধ হাসপাতাল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজেদের অসহায় দাবি করে বলছে, অভিযান চালিয়ে সব নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরে কী হয় তা তাদের জানা নেই।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের উল্টোপাশে অন্তত অর্ধশত বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক। প্রশ্ন হলো এত হাসপাতাল চলে কী করে? অনুসন্ধানে দেখা যায়, দালালই এদের ভরসা। সরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত রোগী ভাগিয়ে আনাই যাদের কাজ। এদেরই একজন হান্নান। রাতে সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি কঠিন হওয়ায়, সেই সুযোগ কাজে লাগায় এরা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী ভর্তি করতে পারলে মিলে কমিশন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, পঙ্গুর ওখানে ইমারজেন্সি থেকে সব। এখানে প্রক্রিয়া হচ্ছে, আপনি একজন রোগী যদি দেন, যে ডিল হবে, রোগী যদি ১ লাখ টাকা বিল দেয় তাহলে দালাল পাবে ৫০ হাজার টাকা। মানে ৫০ শতাংশ হারে এখানে দালালি চলে।

রোগীর বিলের অর্ধেক পায় দালালরা। লাভের অঙ্ক বড় হওয়ায় ধরা পড়লেও আবার সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগানোর কাজে নামে।

কমিশনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রতিষ্ঠান ও দালালদের মারপিটের ছবি আসে আরটিভির হাতে। যেখানে দেখা যায় রাসেল নামে এক দালালকে পেটাচ্ছে ঢাকা হেলথকেয়ারের পরিচালক আনিস।

ভুল চিকিৎসার প্রতিবাদ করায় ফরিদ খান নামের শ্রমিক লীগের এই নেতার স্বজনদের আটকে মারধরের অভিযোগ আছে এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

নারী কর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতনের দায়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।

এত অনিয়মের পরও কীভাবে চলছে এসব প্রতিষ্ঠান? প্রশ্ন ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞাদ বলেন, আমরা যখন যাই তখন তো সব পাই। আমরা হয়তো চলে আসলে তারা থাকে না। আমাদের পর্যাপ্ত সময় নেই যে আমরা পাহারা দিব। তবে আমরা চেষ্টা করছি তারা যাতে একটু ভালো হয়। প্রয়োজনে আমরা আবার ভিজিট করব, যদি আমরা অনিয়ম পাই আমরা আবার বন্ধ করে দিব। আমরা পরিদর্শন করতে গেলাম, আমাদের তো কোনও সিকিউরিটি নাই। আমাদেরকেও এগুলো মেইনটেন করতে হয়।

রোগী মরুক বাঁচুক সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। হাসপাতালের নামে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে ভাড়া বন্ধ হবে, এক পর্যায়ে সেই আশঙ্কায় সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হন ভবন মালিকরাও।

ডব্লিউএস/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চাকরির সুযোগ দেবে ইবনে সিনা, নেবে একাধিক
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চাকরির সুযোগ
তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে
X
Fresh