কবরবাণিজ্য: অনিয়মে ইজারা বাতিলের কথা বলছেন মেয়র
রাজধানীতে দাফনের খরচ একেক কবরস্থানে একক রকম। আবার কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত খরচের কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করেন ইজারাদাররা। এর সাথে যোগ হয় বকশিশ। ব্যক্তি মালিকানাধীন কবরস্থানের খরচ আরও বেশি। ঢাকা উত্তরের মেয়র জানান, ঠিকাদাররা নিয়ম না মানলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
এদিকে রাজধানীর উত্তর সিটিতে কবরখনন আর বাঁশচাটাই সরবরাহের জন্য ইজারা দেয়া হয়। তবে একেক কবরস্থানে, কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত খরচ একেক রকম।
রাজধানীর রায়েরবাজারে নির্ধারিত ৪৮৭ টাকা, মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যা ৪৫৮ টাকা। আবার উত্তরা চার নম্বর সেক্টরের কবরস্থানে ৪৫২ টাকা আর উত্তরা ১২ নম্বরে ৪৩৯ টাকা। তবে বাস্তবে ইজারার কয়েকগুণ টাকা আদায় করা হয়। উত্তরা ১২ নম্বরে নেয়া হয় ১৫শ’ টাকা। এরসাথে দিতে হয় বকশিশ।
কবর বাণিজ্যের বিষয়টি নজরে আনলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানান, অনিয়মকারীদের ইজারা বাতিলের কথা ভাবছে সিটি করপোরেশন। কোনো ধরনের প্রমাণ তাদের কাছে নেই। এমনকি অভিযোগও আসেনি। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এতো গেলো সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রণাধীন কবরস্থানের কথা। রাজধানীর ব্যক্তি মালিকানাধীন ও ওয়াকফো করা কবরস্থানের অবস্থা আরও নাজুক। দাফনের জন্য যে যার মতো টাকা নেয়। মিরপুরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে দাফনের জন্য নেয়া হয় সাত হাজার টাকা।
জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানের ইমাম হাফেজ মাওলানা নুরুজ্জামান বলেন, কমিটি এলাকাভিত্তিক টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে টাকা নেয়ার কথা আমি জানি না।
জানা গেছে, এসব কবরস্থানেও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়।
ইজে/পি
মন্তব্য করুন