ভেজাল প্রসাধনীতে নিজেকে সাজাচ্ছেন নাতো? (ভিডিও)
লেকমি, লরেল, জর্ডানা, মেডনা, ডিয়ারলির মতো নামিদামি ব্র্যান্ডের নেইলপলিশ দেশেই তৈরি হচ্ছে, তবে এর বেশির ভাগই নকল। শুধু নেইলপলিশই নয়, নকল হচ্ছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের যত আইলাইনার। চকচকে মোড়কের আড়ালে ক্ষতিকর রাসায়নিকে তৈরি এসব প্রসাধনী চলে যাচ্ছে ক্রেতার ঘরে ঘরে।
আরটিভি টিম ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কোনাখোলা, ম্যাডাম কসমেটিক্সের কারখানায় যাওয়া পর ক্যামেরা দেখেই দরজা বন্ধ করে দেয় কারখানার কর্মীরা। পাশের বাড়ির ছাদ দিয়ে প্রবেশ করার পর দেখা যায় ভবনের ছাদে ছড়ানো বিদেশি নানান ব্র্যান্ডের আইলাইনারের প্যাকেট। কারখানার ভেতরে থরে থরে সাজানো জনপ্রিয় যত ব্র্যান্ডের নেইলপলিশ। এই কারখানার নেই কোনো অনুমোদন। নেই পণ্য আমদানির ছাড়পত্র। তাহলে কোথা থেকে আসছে এত এত বিদেশি প্রসাধনী?
শুধু এই কারখানাই নয়, আশপাশের আরো ছয়-সাতটি কারখানা ঘুরে দেখা যায় একই দৃশ্য। লেকমির মতো দেখতে, লাইকমি, লাইকমিস থেকে শুরু করে নেইলস, ইভা, জবানাসহ কী নেই এখানে!
বিদেশি ব্রান্ডের নেইলপলিশের শিশিতে ভরা হচ্ছে স্থানিয়ভাবে তৈরি প্রসাধনী। নানান রাসায়নিক ও রং ব্যবহার করে ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে বিদেশি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী।
এ বিষয়ে কারখানার একজন কর্মী বললেন, তাদেরকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয় সেই দায়িত্বই তারা পালন করে। কী দিয়ে তৈরি, কী কী মেশানো হয়, তা জানা নেই তাদের কারোরই।
ক্ষতিকর রাসায়নিকে তৈরি মানহীন নেইলপলিশ ব্যবহারে নখ ভাঙা, আদ্রতা হারানোসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ক্রেতা।
এসব পণ্য বিক্রেতারা জানান, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রাখতে হয় তাদের, তবে কীভাবে তৈরি হয়, তা তাদেরও জানা নেই।
১০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিদেশি প্রসাধনী পেয়ে দেদারসে কিনছে খুচরা বিক্রেতারা। ফলে মানহীন ভেজাল প্রসাধনী ছড়িয়ে পরছে জেলাশহর থেকে গ্রামে, প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ভোক্তা।
ইজে/এমএন/টিআই
মন্তব্য করুন