• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মরেও শান্তি নেই, টাকা না দিলে উধাও হয়ে যায় কবর (ভিডিও)

শাকিবুর রহমান

  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৫২

মরেও শান্তি নাই। অনিয়ম আর ঘুষে চলছে আজিমপুর কবরস্থানের কার্যক্রম। সর্বোচ্চ দেড় বছর কবর সংরক্ষণের বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। লিজ না নিয়েও মালিদের মাসহারা দিয়ে কবর রাখা হচ্ছে বছরের পর বছর। শুধু তাই না, মৃত্যু সনদ নিতে এমনকি নথি দেখতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

জানা যায়, রাজধানীর বাসিন্দা আরমান-উল-হক ২০১৮ সালের অক্টোবরে আজিমপুর কবরস্থানের ছেলেকে দাফন করেন। কবর দেখাশুনার জন্য এক মালির সঙ্গে চুক্তি হয়। কিন্তু করোনার কারণে কবরস্থানে নিয়মিত না আসায়, আর সময় মতো টাকা পরিশোধ না করায় বদলে যায় কবরের স্থান। পরে মালির সঙ্গে যোগাযোগ করলে টাকা পরিশোধের শর্তে কবরটি যথাস্থানে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন।

ভুক্তভোগী আরমান-উল-হক আরটিভি নিউজকে বলেন, তার সন্তানকে অ্যাম্বুলেন্সে থেকে নামানোর পর থেকে শুরু করে কবর দেওয়া পর্যন্ত কয়েক ধাপে বকশিস দিতে হয়েছে কবরস্থানে কাজ করা কর্মচারীদের।

এদিকে শুধু আরমান নয়, কবর টিকিয়ে রাখতে অনেকেই মালিদের সাথে মাসিক চুক্তি করেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, কবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে মালিদেরকে দিতে হয়। যদি না দেয়া হয়, তখন একজনের কবর অন্যজনের কাছে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।

তবে কবর পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা মালিরা ক্যামেরার সামনে টাকার বিনিময়ে কবর সংরক্ষণের কথা অস্বীকার করেন।

শুধু কবর সংরক্ষণ নয়, মৃত্যু সনদ নিতেও ঘুষ দিতে হয়। সরকারি হিসাবে সনদ তোলার খরচ ২৫০ টাকা হলেও দাবী করা হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। আবার কবরের সিরিয়ালের প্রতিটি বই দেখতে নেয়া হয় তিন’শ টাকা করে।

এ নিয়ে একজন ভুক্তভোগী জানান, একটা মৃত্যু সনদ বের করতে আবেদন করার পর অফিস থেকে জানানো হয় সনদ বের করার জন্য ফাইল চেক করতে হবে। প্রতিটি ফাইল চেক করতে তিন’শ টাকা করে দিতে হবে।

তবে আরটিভির সামনে সূর পাল্টান গোরস্থানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মুহুরি হাফিজুল ইসলাম। তার দাবি, এখানকার কোনও কর্মচারী কখনো অর্থের বিনিময়ে কাজ করে না। বহিরাগতরাই অর্থ দাবী করতে পারে বলে তার ধারণা।

সিটি করপোরেশন থেকে লিজ নেয়া ছাড়া মাসিক ভিত্তিতে কবর সংরক্ষণের কোনও বৈধ ভিত্তি নেই। স্থানীয় কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক জানান, অর্থের বিনিময়ে কেউ যদি সেবা দিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে অভিযুক্তকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

অনিয়ম বন্ধে নজরদারী আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে কবরস্থানের জায়গা বাড়ানোর দাবী নগরবাসীর।

ইজে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী চলে যাওয়ার তিন বছর
পুরস্কারের ঘোষণা দিলেন আসিফ আকবর
১৭ কবরের মাটি সরানো, এলাকায় চাঞ্চল্য
বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত অবন্তিকা
X
Fresh