• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দূষিত খাবার নিয়ন্ত্রণে নেই কোনও পদক্ষেপ (ভিডিও)

সাদিয়া কানিজ

  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২৫

রাজধানীর ৯০ শতাংশ পথের খাবারই জীবাণু যুক্ত। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর গবেষনায় এসব খাবারে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড ও হেপাটাইসিস রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে। অনিরাপদ খাবার আলসার, হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, প্রতিবছর দুষিত খাবার খেয়ে বিশ্বে চার লাখ ৪২ হাজার মানুষ মারা যায়, যার মধ্যে সোয়া লাখ শিশু। এমন ভয়ঙ্কর তথ্য জানা থাকলেও, দুষিত খাবার নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না।

প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশ’ কাপ চা বিক্রি করেন শাখাওয়াত হোসেন। তবে অস্থায়ী দোকানে পানি সরবরাহ না থাকায় অল্প পানিতে ধোয়ামোছার কাজ চালাতে হয়। আর আড্ডায় মশগুল ক্রেতা এমন অপরিস্কার পানিতে ধোয়া চায়ের কাপেই তৃপ্তির চুমুক দেন।

এভাবেই অপরিস্কার পানিতে ধোয়া চায়ের কাপে পানিবাহিত রোগের জীবাণু একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে যায়।

কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের গবেষণা অনুযায়ি, রাজধানীর প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন রাস্তার ধারের ১৪০ ধরণের খাবার খান। করোনায় আয় রোজগার কমে যাওয়ায় পথের খাবারের উপর নির্ভরশীলতা আরও বেড়েছে।

জনস্বাস্থবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, রাস্তার ওইসব খাবার খেয়ে ক্যান্সার পর্যন্ত হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর গবেষনায়, রাজধানীর ৯০ শতাংশ পথের খাবারে ই-কোলাই, সালমোনেলা ও ইস্ট মোল্ডের মতো ক্ষতিকর জীবাণু পাওয়া যায়। যা থেকে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, হেফাটাইসিসসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ হতে পারে। ঝুঁকি থাকে আলসার, হৃদরোগ ও ক্যানসারের রোগে আক্রান্ত হওয়ার।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জিয়াউল করিমের মতে, এসব খাবার খেয়ে ডাইরিয়া রোগটা সবচেয়ে বেশি হয়।

এতো ঝুঁকি থাকলেও দোকানীদের প্রশিক্ষিত করতে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো নয়।

ফুটপাতের খাবারের মান নিয়ন্ত্রনে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ইজে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh