• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গাড়ি বিক্রয়ে অভিনব প্রতারণা: অনলাইনে দাম এক, কিনতে গেলে আরেক!(ভিডিও)

জুবায়ের সানি

  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪৪

অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে তিন থেকে চার লাখ টাকা কমে গাড়ি অর্ডার করলেন। কিছু অগ্রিম দিয়ে চুক্তি সাক্ষরও করলেন। কিন্তু গাড়ি ডেলিভারি নেয়ার সময় দেখলেন দাম চুক্তির চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিবাদ করলেই ক্রেতার ওপর চড়াও হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও কর্মীরা। রাজধানীর মালিবাগে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জানান ভুক্তভোগীরা। মালিকের অত্যাচার থেকে বাদ যাননি কর্মীরাও। এমন কিছু ফুটেজ এসেছে আরটিভির হাতে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে রাজধানীর মালিবাগের আয়াক কর্পোরেশনে ২২ লাখ টাকায় একটি গাড়ি অর্ডার করেন। কৌশলে সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয় প্রতিষ্ঠান। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় প্রাথমিকভাবে চুক্তিপত্রে সাক্ষর করার পর যখন গাড়ি আনতে গেলেন তখন দেখলেন গাড়ির দাম চার লাখ টাকা বেড়ে গেছ। প্রতিবাদ করায় ক্রেতার ওপর চড়াও হন আয়াকের কর্মীরা।

ব্যবসায়ী জানান, ২২ লাখ টাকায় অর্ডার করা গাড়িটি তারা দাম দেখাচ্ছে ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আমি তাদের বললাম চুক্তির থেকে বেশি টাকা দাবি করা এক ধরনের প্রতারণা। এক পর্যায়ে তারা আমাকে গাড়ি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আমি তাদের কথাগুলো মোবাইলে রেকর্ড করার চেষ্টা করছিলাম। এক পর্যায়ে তারা আমা সঙ্গে খুবই বাজে আচরণ করে।

শোরুমটির মালিক জুয়েল ও ফাহাদ দুই ভাই। একই মালিকের আছে আরও দুটি শোরুম কার হান্ট ও নেটওয়ার্ক ইমপোর্ট কোম্পানি। তাদের মূল কাজ এভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা। দাম বাড়ানোর পাশাপাশি, মাইলেজ টেম্পারিং ও ভাঙা গাড়ি আমদানি করে ক্রেতাদের সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লে কর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। জেলও খাটতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী সালামকে। আরেক সাবেক কর্মী রাজু চাকরি ছাড়ার পর তাকে ফাঁসাতে যে ষড়যন্ত্র করে জুয়েল তাও ধরা পড়ে সিসি টিভির ক্যামেরায়।

এই শোরুমগুলোতে কাজ করা সাবেক কর্মীরা বলছেন, অফিসে প্রতিবাদ করলে করা হয় মারধর।

শোরুমগুলোতে একসময় কাজ করতেন তাদের একজন জানান, মৌচাকের চারতলায় তাদের একটা টর্চার সেল আছে। এখানে ইচ্ছে মতো মারধর করে। সেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই।

জুয়েল ও ফাহাদের সঙ্গে কথা বলতে আয়াক করপোরেশনে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল ফোনে জুয়েল জানান তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার মামলা ও থানায় অভিযোগ আছে প্রচুর। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে তারা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এসজে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘মোনা : জ্বীন-২’ নিয়ে দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ
‘হাইকোর্টের নারী ম্যাজিস্ট্রেট’ পরিচয়ে প্রতারণা, অতঃপর...
নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেলেও দিতে হতো ১৪ লাখ টাকা!
বাইরের জীবন এত কঠিন জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম : জল্লাদ শাহজাহান
X
Fresh