লকডাউনেও কমছে না করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু (ভিডিও)
সহসাই উন্নতি হচ্ছে না করোনা পরিস্থিতির। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুঃস্বপ্নের জুলাই বিদায় নিলেও আগস্টের চোখ রাঙানি শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই। ঈদ এবং কারখানা খোলাকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার ফল ভোগ করতে হবে দেশকে।
রোজার ঈদের এই পরিস্থিতি কারো ভোলার কথা নয়। জনস্বাস্থ্যবিদদের পূর্বানুমান সত্যি হয়ে করোনা ভয়ালরূপে থাবা দেয় কোরবানির ঈদের মাসখানেক আগেই।
আবারও আসে বিধিনিষেধ, শ্লথ লকডাউন ও কঠোর লকডাউন। কিন্তু কোরবানির ঈদের সময় আট দিনের বাস্তবতা সব ম্লান করে দেয়। তারপর আসে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত। পথে-ঘাটে নামে শ্রমিকদের ঢল।
অথচ এর মাঝে করোনা পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তার পরিসংখ্যান দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। কেবল জুলাই মাসেই শনাক্ত ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। জুলাইয়ের শেষদিন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪। সে হিসেবে শনাক্তের হার প্রায় ২৭ শতাংশ। মৃত্যুর চিত্রটা আরও ভয়াবহ। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২০ হাজার ৬৮৫ জনের মধ্যে কেবল জুলাইয়ে মারা যায় ৬ হাজার ১৮২ জন। শতকরা হার প্রায় ৩০।
আগস্টে সংক্রমণ ও মৃত্যু সমানতালেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম দুই দিনে মারা গেছে ৪৭৭ জন। ৩০ হাজার ৮৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহসাই কমছে না সংক্রমণ ও মৃত্যু। ঈদ ও তার পরবর্তী সময়ের হিস্যা দিতে হবে দীর্ঘদিন ধরে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক যে শিথিলতা, আমাদের সংক্রমণ পরিস্থিতি অবশ্যই অগ্রগতি ঘটাবে এবং আমাদের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বাড়াবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, এই ঊর্ধ্বমুখী চলতে থাকবে। যদি কোনো কারণে লকডাউন উঠিয়ে দেয়, আন্তঃজেলা পরিবহন চলে তাহলে এটা আগস্ট মাসজুড়ে অবশ্যই ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লকডাউন বেশিদিন রাখা যাবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের মাধ্যমে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, লকডাউন করছে ভালো। যতটুকু করতে পারে করুক, তবে লকডাউন দীর্ঘস্থায়ী দেয়া যাবে না। কিন্তু যারা স্বাস্থ্যবিধি মানে না, মানতে চায় না তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিলে উপকার হতো।
করোনা প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রমকে জোরদারের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসআর/
মন্তব্য করুন