দ্রুত টিকা দিতে ব্যবস্থাপনার বিকেন্দ্রীকরণ চান ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)
টিকা ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ করা গেলে প্রতি মাসে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়া কার্যক্রম সফল হবে। এমনটাই মনে করেন ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ। তবে টিকা কার্যক্রম সরকারি ব্যবস্থাপনার বাইরে গেলে অনিয়মের সম্ভাবনা থাকবে বলে জানান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজির আহমেদ। তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যে সবাইকে টিকা দেয়া প্রয়োজন হলেও প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাস্তবতা কঠিন।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা ১৭ কোটির বেশি। মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ। অর্থাৎ ১৩ কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীকে প্রতিমাসে ১ কোটি করে টিকা দিতে সময় লাগবে অন্তত ২ বছর। এর সাথে শিশুদের টিকা দেয়া শুরু হলে শতভাগ নাগরিকই সেবার আওতায় আসবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা দেয়া শুরু হয়। বিদেশ থেকে প্রাপ্তি সাপেক্ষে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন পেয়েছে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ ভাগ। সব ঠিক থাকলে গ্রামের মানুষ টিকা পাবে ৭ আগস্ট থেকে। করোনার সংক্রমণ কমাতে সরকার টিকাদানের গতি বাড়াতে চায়। দ্রুত বেশি মানুষকে টিকা দিতে মাসে ১ কোটি ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। কমিয়ে আনা হচ্ছে বয়সসীমাও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা যদি ১২ কোটি মানুষকে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে টিকা দিতে পারি, তাহলে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু সেটা দুটি কারণে সম্ভব না। এক হচ্ছে টিকা প্রাপ্তি এবং দ্বিতীয় হচ্ছে টিকা প্রয়োগ। প্রতিটি ওয়ার্ডে যদি কেন্দ্র করা হয় এবং প্রতিদিন টিকা প্রদান কার্যক্রম চালানো হয়; তাহলে এক কোটি কেনো দুই-তিন কোটিও আমরা দিতে পারি।
পোশাক কিংবা পরিবহন শ্রমিকদের মতো খাতভিত্তিক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সেবার প্রদানের পরামর্শ দিয়ে এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আমাদের যদি সেক্টর ওয়াইজ বা ফ্যাক্টরি ওয়াইজ টিকাগুলো সরবরাহ করে সরকার। আমরা আমাদের ডাক্তার এবং দক্ষ নার্সের মাধ্যমে এটা খুব দ্রুত সময়ের মাধ্যমে দিতে পারবো। শুধু রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প না, সমস্ত চামরা শিল্প, পাটজাত শিল্প, পরিবহন, ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আছে, সবাইকে যদি সেক্টর ওয়াইজ ভাগ করে দেওয়া হয়, তাহলে সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা দেয়া সম্ভব।তবে টিকা কার্যক্রম সরকারি ব্যবস্থাপনার বাইরে গেলে অনিয়মের সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এসজে/পি
মন্তব্য করুন