৮ ধরনের ওষুধের ঘাটতি কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (ভিডিও)
করোনায় ডায়াবেটিস রোগীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকলেও কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে নেই ডায়াবেটিসের ওষুধ। কর্তৃপক্ষের হিসেবে ৮ ধরনের ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। এ ব্যাপারে রোগীরা অভিযোগ জানালে উল্টো আরটিভির সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন মেডিকেল অফিসার ডা. মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরী। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছবি তুলতে বারণ করেন।
করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে ডায়াবেটিস রোগীরা। কিন্তু রাজধানীর কেরাণীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে নেই ডায়াবেটিস এর ওষুধ গ্লিকাজাইড। কর্তৃপক্ষের হিসাবেই দেখা যায়, কমপ্লেক্সটিতে ৮ ধরনের ওষুধের ঘাটতি রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান, জানুয়ারি মাস থেকে একটি ওষুধ পাচ্ছি না। ওষুধ কিনে খেতে পারি না বলেই এই হাসপাতালে আসি।
রোগীদের অভিযোগ জানানোর মধ্যেই আরটিভির ক্যামেরার উপর চড়াও হন মেডিকেল অফিসার ডা. মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরী। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েও ক্যামেরা বন্ধ করতে বার বার তেড়ে ওঠেন তিনি। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও তিনিও কোন ব্যবস্থা নেননি।
ঘটনার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মশিউর রহমান তার কক্ষে ডেকে নিয়ে সংবাদ প্রচার না করার প্রস্তাব দেন। তিনি ৮ জুলাই প্রকাশিত সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তির কথা বলেন। অথচ ওই বিজ্ঞপ্তিতে অনুমতি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছবি তোলার কথা বলা নেই।
তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ওষুধ সঙ্কটের কথা স্বীকার করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মশিউর রহমান।
বেলা দেড়টা বাজতেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বেশ কিছু বিভাগ তালাবদ্ধ দেখা যায়। এ সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এটা বন্ধ হওয়ার কথা না।
এদিকে ওয়ার্ডগুলোতে সকাল থেকে চিকিৎসক এর দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ জানান রোগীরা। তবে এর কিছুক্ষণ পরই রোগী দেখা শুরু করেন ডা. মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরী।
এসজে/পি
মন্তব্য করুন