৪ টাকা বিদ্যুৎ খরচে ঘণ্টায় ৬শ লিটার অক্সিজেন (ভিডিও)
মাত্র ৪ টাকা বিদ্যুৎ খরচে ঘণ্টায় জমা হচ্ছে ৬শ লিটার অক্সিজেন। এবং একই যন্ত্র থেকে একসঙ্গে ৫ জন রোগীকে ১ থেকে ১০ লিটার মাত্রার অক্সিজেন দেয়াও সম্ভব। বিদ্যুৎ খরচের বাইরে এই অক্সিজেন উৎপাদন ও ব্যবহারে আর কোনেও খরচও নেই। বিদেশে নয় এই ‘অক্সিজেন কনসোর্টিয়াম’ উদ্ভাবন করেছেন বগুড়ার প্রকৌশলী মাহমুদুন্নবী বিপ্লব ও শেখ মো. মহিবুর রহমান।
শুধুমাত্র প্রাকৃতিক বাতাসকে ব্যবহার করে প্রতি মিনিটে ১০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে ‘অক্সিজেন কনসোর্টিয়াম’ যন্ত্রটিতে। একই সঙ্গে চলবে অসুস্থ মানুষকে অক্সিজেন সরবরাহ।
প্রকৌশলী মাহমুদুন্নবী বিপ্লব বলেন, প্রতিবেশী দেশে মহামারী হয়ে গেছে। আমাদের দেশে যে হবে না এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। আমাদের চিন্তা-ভাবনা যদি দেশে মহামারী আকার ধারণ করে। তাহলে আমরা কিন্তু কেউ বাঁচতে পারবো না। সেই চিন্তা থেকেই মূলত এই মেশিনটা তৈরি করা। অন্তত অক্সিজেনের অভাবে যেনও কোনও প্রাণহানি না হয়। বাতাসে অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে থাকা অন্য সব উপাদান সরিয়ে শুধু অক্সিজেন জমা করতে সক্ষম।
প্রকৌশলী মাহমুদুন্নবী বিপ্লব আরও বলেন, করোনা সংকটে অক্সিজেন প্রাপ্তি সহজলভ্য করবে তাদের এই যন্ত্র। যন্ত্রটি তৈরিতে ৬৫-৭০ হাজার টাকা লাগবে। বিদ্যুৎ ছাড়া অন্য কোনও খরচ নেই। অক্সিজেন সরবরাহ পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের সুবিধাও যুক্ত রয়েছে এই যন্ত্রে। হাসপাতাল এবং বাসায় এটা ব্যবহার করা যাবে।
অ্যামবেডেড সিস্টেম ডিজাইনার প্রকৌশলী শেখ মো. মহিবুর রহমান বলেন, একটি হাসপাতালের ৭-৮টা মেশিন যেনও একজন ডাক্তার বসেই দেখতে পারেন। কোন কোন রোগীর কি কি অবস্থা এবং মেশিনগুলো ঠিকঠাক মতো চলছে কিনা। এই জিনিষগুলো আমরা এক জায়গা থেকে মনিটরিং করতে পারি। আমাদের এই জিনিষটাকে ডিজিটালাইজেশনের একটা পর্যায়ে নিয়ে আসছি। করোনা পরিস্থিতিতে এই উদ্ভাবন কাজ করবে তা নয়। আমাদের গ্রামে শীতের সময় শিশু, বৃদ্ধদের যে শ্বাসকষ্ট হয়, সেখানেও এর সুফল পাওয়া জাবে। যদি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে একটি করে মেশিন রাখা হয়।
বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু বলেন, উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পায়। এখানে খরচ যেহেতু একেবারেই কম। অক্সিজেন সংকটের সময় এমন যন্ত্র থাকলে করোনা পরিস্থিতি সামলানো অনেকটাই সহজ হবে।
উল্লেখ্য, জুন মাসে সরকারের এ-টু-আই প্রকল্পের উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায় প্রদর্শন করা হয়েছে এই যন্ত্র। সেখানে প্রশংসা কুড়ালেও যন্ত্রটির উৎপাদন বা ব্যবহারের অনুমতি মেলেনি এখনো।
এসজে/জিএম
মন্তব্য করুন