• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

খু'ন-ধ'র্ষণ-নারীপাচার করেও পার পাচ্ছে কিশোর অপরাধীরা (ভিডিও)

শরিয়ত খান, আরটিভি নিউজ

  ১৭ জুন ২০২১, ০৮:৪৩
খুন-ধর্ষণ-নারীপাচার করেও পার পাচ্ছে কিশোর অপরাধীরা (ভিডিও)
খুন-ধর্ষণ-নারীপাচার করেও পার পাচ্ছে কিশোর অপরাধীরা

খুন-ধর্ষণ থেকে নারীপাচার সব অপরাধ করলেও সাজা হয় না কিশোর আইনে। অভিযোগ প্রমাণ হলেও ঠাঁই হয় সংশোধন কেন্দ্রে। তাই অপরাধীরা অপকর্ম করতে এখন অল্প বয়সীদের বেছে নিচ্ছে। এই বাস্তবতায় কিশোর অপরাধ কমাতে আইন সংশোধনের তাগিদ দিয়েছেন আইনজ্ঞরা।

বছরের শুরুতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে তুচ্ছ কারণে খুন হয় ১২ বছরের শিশু সিফাত। ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বয়স ছিল ১০-১৪ বছরের মধ্যে। তাই গ্রেপ্তারের পর হত্যার কথা স্বীকার করলেও তাদের ঠাঁই হয় কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে।

বরগুনায় রিফাত হত্যায় ২৪ আসামির মধ্যে ১৪ জনই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা প্রকাশ্যে খুন করলেও তাদের সর্বোচ্চ সাজা হয়নি।

শুধু এই দুটি ঘটনা নয়, সম্প্রতি দেশে সংঘটিত অপরাধের মামলায় অভিযুক্তদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের বয়স ১৮ বছরের নিচে। ফলে সহজেই জামিন পাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীরা। আবার গুরুতর অপরাধে সাজাও কম হচ্ছে। এই কারণে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে বিভিন্ন গ্যাংয়ের শতাধিক সদস্যকে আটক করা হলেও কিশোর হওয়ায় তাদের ছেড়ে দিতে হয়।

ডিএমপির এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, যখন কেউ অপরাধ করে ফেলছে তখন আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরপর আদালত যে ব্যবস্থা নেন সেখানে আমাদের জায়গা থেকে কিছু করার থাকে না।

বর্তমান আইনে কিশোর অপরাধ দমনে সীমাবদ্ধতা দেখছেন বিশেষজ্ঞরাও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, আইন তো আছে কিন্তু তার প্রয়োগ কতটুকু? আবার পুলিশ-জেল-আদালত এসব নানা সমস্যা। জামিন নিয়ে বের হয়ে যায় আবার বিদেশ চলে যায়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনজীবী এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, কোনো কিশোর হত্যা-ধর্ষণ, যে অপরাধই করুক ৩৪ ধারা অনুযায়ী ৩-১০ বছর সাজা হবে তার। এখন ১০ বছরের ওপরে তাকে সশ্রম কারাদণ্ড দিতে পারবেন না, মৃত্যুদণ্ড দিতে পারবেন না। তাই শিশু আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে, জামিনের যে ধারাগুলো তা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এই বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ১৪ করা যেতে পারে।

আইনজ্ঞরা মনে করেন, গুরুতর অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করলে সব বয়সীরাই ভয় পাবে, অপরাধ প্রবণতা কমবে। এজন্যে শিশু-কিশোর আইন সংশোধনের বিকল্প নেই।
এসআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh