• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু বাংলাদেশেই ১৫ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ২৯ মে ২০২১, ১০:৪৯

করোনা সংকটের কারণে ১৫ মাস ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইউনিসেফের তথ্য মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে লাগাতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বললেন, এ বছর মার্চে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েও সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় স্কুল চালু করা সম্ভব হয়নি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

আরও পড়ুন...আলোচিত শিশু বক্তা আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন

কোভিড-১৯ এর অতিমারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হচ্ছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে স্কুল খোলার প্রস্তুতি ও ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা খোলা হয়নি।

ইউনিসেফের তথ্য মতে, বাংলাদেশ ছাড়া আরও ১৩টি দেশে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে অব্যাহতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক বছরের বেশি বন্ধ রয়েছে। চলছে না প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।

অন্যান্য দেশে অনলাইন ক্লাস ও বিকল্প অনেক পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও বাংলাদেশে তেমন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেই। বিশেষ করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, সংসদ টিভিতে কিছু ক্লাস প্রচার হচ্ছে এবং অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কিছু পাঠদানের চেষ্টা চলছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার সব ধরনের সুযোগ রুয়েছে সেই সকল দেশেও কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তারা বিভিন্ন সময় খোলার চেষ্টা করেছে, খুলেছে। আবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। অনলাইনে অনেক জায়গা সীমাবদ্ধতা থাকলেও জেলা-উপজেলা পর্যায়, অনেক জায়গায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি চলছে।

করোনা বিষয়ে জাতীয় কমিটি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে জুনের মাঝামাঝি স্কুল খুলে দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি ১৩ জুন থেকে আমরা খুলে দিতে পারি তাহলে ২০২১ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ক্লাস হবে। তারা পুরো ৬ দিন ক্লাস করবেন। যারা ২০২২ সালের এসএসসি এবং এইচএসসির পরীক্ষার্থী তাদেরটাও আমরা চেষ্টা করব ৬ দিনই ক্লাস নেয়ার জন্য। বাকি যারা থাকবেন, শুরুতে তারা সপ্তাহে একদিন আসবেন এবং তারপর ক্রমাগত তাদের ক্লাস বাড়ানো হবে।

স্কুল খোলার পর পড়াশোনার ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানালেন মন্ত্রী।

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস উদযাপনের নির্দেশ
ইসরায়েলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
X
Fresh