• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শেষ হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, চিন্তিত গ্রহীতারা (ভিডিও)

খান আলামিন

  ২৭ মে ২০২১, ১৩:৪৮

শেষ হয়ে আসছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুদ। নষ্ট টিকার হিসাব বাদ দিলেও আপাতত দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছে না ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪ জন। তবে আশ্বস্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, ঘাটতি টিকা সংগ্রহ করতে সাতটি উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরাও কিছুটা আশার কথা বলছেন। তিন মাস কিংবা তারও বেশি ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ নিলে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

শেষদিকে যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে তারা শঙ্কায় আছে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে। সেজন্য এসএমএস না পেলেও ছুটছে টিকা কেন্দ্রে। এনিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। বিএসএমএমইউর টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও সেখানে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

বিএসএমএমইউর উপ-পরিচালক ডা. মো. খোরশেদ আলম বলেন, অনেকে মনে করছেন কী জানি হয়ে গেল। তিনি দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছে কি পারছে না এই একটা চিন্তায় রয়েছে। অনেক সিনিয়র নাগরিকদের জন্য কিছুটা ছাড় দিতে পারলেও বেশিরভাগই আমরা এটা পারছি না।

জনমনে আতঙ্কের কারণও রয়েছে। দেশে আসা ১ কোটি তিন লাখ ডোজের মধ্যে ২২ মে পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন নিয়েছেন প্রথম ডোজ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ২১৮ জন। মজুদ আছে ৫ লাখ ৭ হাজার ৮৭০ ডোজ। অথচ দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার অপেক্ষায় ১৮ লাখ ৪৭ হাজার ৬৯৪ জন। নষ্ট টিকার হিসেব বাদ দিলেও ঘাটতি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪ ডোজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা ব্যবহারের সময় ৪ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে। সে হিসেবে ঘাটতি বাড়বে আরও চার লাখের বেশি। তবে ঘাটতি টিকা আনতে সাতটি উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বিশ্বের ৬/৭টি দেশেই কিন্তু তারা উৎপাদন করে। এছাড়া কারো কারো কাছে কিছু বাড়তি সরবরাহ আছে। কিন্তু তারা দিতে পারবে কিনা তার উপর নির্ভর করে আমরা পাব কিনা।

শুরুতে বলা হয়েছিল দুই ডোজের মাঝে ব্যবধান থাকবে চার সপ্তাহ। তবে এখন আট সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১২ সপ্তাহ কিংবা তার বেশি ব্যবধান হলেও সমস্যা নেই।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, আমাদের আরও দেরি করার সময় আছে। আমরা যদিও বাংলাদেশে ২ মাস অনুশীলন করছি কিন্তু ৩ মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে। আমরা যদি আরও এক মাস অপেক্ষা করি তাহলে সেই সময়ের মধ্যে অবশ্যই টিকা পাওয়া যাবে।

দ্বিতীয় ডোজ না পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। আইইডিসিআরের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথম ডোজেও ৯০ শতাংশের উপরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে।

এসআর/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টিকা নিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে হজযাত্রীদের 
ক্যানসারের টিকাও সম্ভব করতে পারে নতুন প্রযুক্তি
ঈদের ছুটিতে ২ হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঝটিকা পরিদর্শন
করোনা টিকায় স্নায়ুতে দেখা দিতে পারে জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!
X
Fresh